ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Advertisement
Advertisement

পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে আইনি সংস্থা নিয়োগ করবে সরকার

প্রকাশিত: ১৬:১৪, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আপডেট: ১৮:৩৫, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে আইনি সংস্থা নিয়োগ করবে সরকার

পাচার করা অর্থ

দেশ থেকে অর্থ পাচারকারীদের চিহ্নিত করতে এবং পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার করতে  আন্তর্জাতিক আইনি পরামর্শদাতা সংস্থা নিয়োগের পরিকল্পনা করছে সরকার। পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে গঠিত টাস্ক ফোর্সের সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।

এজন্য বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাসগুলো অর্থ পাচারকারীদের এবং তাদের সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করবে। টাস্ক ফোর্স এই উদ্যোগে কাজ করছে এবং তার পরবর্তী বৈঠকে আরও কর্ম পরিকল্পনা নির্ধারণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ৭ শতাংশ ট্যাক্স প্রদানের সুবিধা দিয়ে বিদেশে থাকা অর্থ বা সম্পদ ফিরিয়ে আনার সুযোগ দিয়েছে। তবে এই বছরের ৩০ জুন মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি নাগরিক এই সুযোগ নেননি। এখন সরকার পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে আন্তর্জাতিক আইনি পরামর্শদাতা সংস্থা নিয়োগের কথা ভাবছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন: সোমবার থেকে ৭৯টি বিআরটিসি বাস চলবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে

গত ২০০৯ সালে বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে সরকার 'অক্টোখান' নামে একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করেছিল। সে সময় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ওই সংস্থাকে উদ্ধারকৃত অর্থের ১০ শতাংশ কমিশন হিসেবে দেয়। পরবর্তীকালে,দুইবার চুক্তি নবায়ন করা হয়েছিল তবে ২০১৫ সালের পর আর চুক্তি নবায়ন হয়নি।

এনবিআর কর্মকর্তা আরও বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর (সিআইআইডি), এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি), বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)  সহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি টাস্কফোর্স সক্রিয়ভাবে বিদেশি সংস্থা নিয়োগ সংক্রান্ত আইনি দিক নিয়ে কাজ করছে। গত ২৯ নভেম্বর টাস্কফোর্সের সপ্তম বৈঠকে আন্তর্জাতিক আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের বিষয়ে মতামত দেওয়া হয়।

অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিনের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে অর্থ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, এনবিআর, সিআইআইডি, সিআইসি, সিআইডি, দুদক ও বিএসইসির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিভিন্ন দেশ পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারের জন্য এই ধরনের বেসরকারি আইনি সংস্থা নিয়োগ করেছে এবং উদ্ধারকৃত অর্থের একটি অংশ তাদের প্রদান করেছে।

Advertisement
Advertisement

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_05/p1kq0rsou/public_html/details.php on line 531