ইরানে প্রায়ই ঘটছে স্কুলছাত্রীদের ওপর বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগের ঘটনা। সন্দেহভাজন ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, গ্যাস প্রয়োগের মূল উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়-আতঙ্ক সৃষ্টি করা। যাতে তারা স্কুলে যেতে না চায়।
ইরানের সরকারের দাবি, এই ঘটনায় তেহরানসহ বেশ কয়েকটি শহরে লোকদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া তদন্ত চলমান রয়েছে। খবর উইয়ন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, গ্যাস প্রয়োগকারী ওই ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন দুষ্টুমি বা দুঃসাহসিকতার কারণে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া ঠেকাতে ও স্কুলগুলো বন্ধ করার উদ্দেশ্যে এমন কাজ করেছে।
দেশটিতে প্রথম বিষ প্রয়োগের ঘটনাটি ঘটে গত বছরের ৩০ নভেম্বর। ওইদিন কোম নগরীর দ্য নূর টেকনিক্যাল স্কুলের ১৮ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিতে হয়। তারপর থেকে আরও ১০টির বেশি গার্লস স্কুলে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে পশ্চিমাঞ্চলের লরেস্তান প্রদেশের বরুজার্ড শহরের চারটি স্কুলের অন্তত ১৯৪ ছাত্রীকে বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগ করা হয়। একই সময় রাজধানী তেহরানের তকাছেই পার্দিসের খাইয়াম গার্লস স্কুলের ৩৭ জন ছাত্রী বিষপ্রয়োগের শিকার হয়।
গ্যাস প্রয়োগে অসুস্থ হয়ে পড়া ছাত্রীরা জানিয়েছে যে তারা, অসুস্থ হওয়ার আগে ছোট কমলালেবু বা পঁচা মাছের গন্ধের মত গন্ধ পাচ্ছিল।
বি