অভ্যন্তরীণ ও আন্তঃসীমান্ত সংযোগ স্থাপনের জন্য আরও ১২টি এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে দেশের সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ককে আন্তঃসংযুক্ত করতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে একটি মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সড়ক পরিবহন ও জনপথ অধিদপ্তর।
এসব এক্সেপ্রেসওয়ে নির্মাণে খরচ হবে ১ লাখ ৯১ হাজার কোটি টাকা (১৭.২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। ২০৪১ সাল নাগাদ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সড়ক পরিবহন ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান বলেন, এই মহাপরিকল্পনায় দেশের সব মহাসড়ককে এক নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। 'হাইওয়ে মাস্টার প্ল্যান ২০৪১' শীর্ষক এ মহাপরিকল্পনার খসড়া তৈরি করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। আগামী বছরের প্রথম দিকে খসড়া পরিকল্পনাটি অনুমোদিত হওয়ার পর তা বাস্তবায়নের জন্য কৌশলপত্র প্রণয়ন করা হবে।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবেশী দেশগুলো সড়কের এই ধরনের মাস্টারপ্ল্যান ৮০/৯০ এর দশকে বাস্তবায়ন করেছে। আগে এসব এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ যতটা সহজে করা যেতো এখন বাস্তবায়ন তা বড় চ্যালেঞ্জ। তবু দেশের ক্রমাগত বিকাশ ও টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে এগুলো নির্মাণ করতে হবে।
'হাইওয়ে মাস্টার প্ল্যান ২০৪১' শীর্ষক খসড়া মহাপরিকল্পনায় যে ১২টি এক্সেপ্রেসওয়েকে যুক্ত করার কথা ভাবা হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে– ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-চট্টগ্রাম (উড়াল), ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা আউটার রিং রোড, ঢাকা-বগুড়া, (বঙ্গবন্ধু টানেল হয়ে) মিরসরাই-কক্সবাজার, ময়মনসিংহ-বগুড়া, গাবতলী-পাটুরিয়া (বিদ্যমান সড়ক উন্নতকরণ) থেকে কাজীরহাট, ফেনী-বরিশাল, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া- দাশুরিয়া।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মোহাম্মদ ইউনূস টিবিএসকে বলেন, উন্নত দেশ হতে হলে বাংলাদেশকে অবকাঠামোগত পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি বলেন, 'প্রত্যেক দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের একটি মাস্টার প্ল্যান থাকে। দীর্ঘমেয়াদে অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়িত হবে সড়কের এই মহাপরিকল্পনা। ফলে অর্থায়ন নিয়ে খুব একটা চাপ তৈরি হবে না।
পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, মহাসড়কের মাস্টার প্ল্যান যেমন থাকা জরুরি, তেমনি এর সাথে রেল, গ্রামীণ সড়ক ও নৌ– সব ধরণের যোগাযোগ অবকাঠামোর জন্য সমন্বিত মাস্টার প্ল্যান থাকা প্রয়োজন।