বিয়ে বা যেকোন অনুষ্ঠানে বিশেষ কিছু উপহার দেওয়া অথবা নিজের সাজসজ্জার কথা মাথায় আসে, তখন যে জিনিসটা সবার আগে মনে আসে সেটি হচ্ছে স্বর্ণ।তবে প্রতিনিয়তই মূল্যবান এ ধাতুটির দাম ওঠানামা করে, তাই নকল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। অনেকেই ক্রেতাদের নকল সোনার গয়না বিক্রি করে ঠকায়।
প্রথম দর্শনে, আসল এবং নকল সোনার মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন। ৪১.৪ শতাংশ বা ১০ ক্যারেটের কম সোনা বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক মানের দ্বারা নকল বলে বিবেচিত হয়। ফলস্বরূপ, প্রতারক বিক্রেতাদের প্রতারণা করা সহজ হয়। এজন্য সবারই আসল সোনা চেনার উপায় জেনে রাখা উচিত-
১: হলমার্ক
সোনা খাঁটি কিনা তা নির্ধারণ করতে হলমার্ক সার্টিফিকেশন দেখুন। হলমার্ক থাকলে বুঝবেন সেটি আসল সোনা। এছাড়াও হলমার্কের সার্টিফিকেটও পাওয়া যায়।
২: ভিনিগার টেস্ট
এই পরীক্ষাটি একটি জনপ্রিয় রান্নাঘরের আইটেম ভিনিগার ব্যবহার করে করা হয়। আপনার সোনার টুকরোতে কয়েক ফোটা ভিনিগার ফেলে দিন। ফোটা যদি ধাতুর রঙ পরিবর্তন করে তবে এটি আসল সোনা নয়। আসল সোনা হলে ভিনিগার দিলেও গয়নার রং পরিবর্তন হবে না।
৩: চুম্বক পরীক্ষা
আপনার কাছে শক্তিশালী চুম্বক থাকলে, চুম্বকটিকে সোনার টুকরোটির কাছে রেখে এবং এটিতে আকৃষ্ট হয়েছে কি না তা দেখে আপনি সহজেই আসল না নকল সোনা তা যাচাই করতে পারেন। চুম্বককে যখন খাদ মেশানো সোনার সামনে রাখা হয়, সেটি আকৃষ্ট করে না। যেহেতু চুম্বক সহজলভ্য, এই পরীক্ষাটি খুবই সুবিধাজনক। তাছাড়া সোনায় মরচে পড়ে না, তাই আপনি যদি আপনার সোনার টুকরোতে মরচে ধরার কোনও চিহ্ন দেখেন, তাহলে বুঝবেন এটা আসল সোনা নয়।
৪: ফ্লোট টেস্ট
সোনা একটি পুরু, শক্ত ধাতু। ফলস্বরূপ, এর ভারীত্ব বা ঘনত্ব পরীক্ষা করা আসল সোনা চেনার উপায়গুলির মধ্যে একটি। এক বালতি জলে আপনার সোনার গয়না ফেলে দিন। যদি এটা আসল সোনা দিয়ে তৈরি হয়, তবে তা ডুবে যাবে। নকল সোনা কিনে না ঠকতে চাইলে সবসময় বিশ্বস্ত জুয়েলার্সের কাছ থেকে সোনা কিনতে হবে। ছোট দোকান থেকে সোনা কেনা সবসময় নিরাপদ নয়, কারণ জুয়েলার্স নকল সোনা বিক্রি করতে পারে।
৫: অ্যাসিড টেস্ট
আসল সোনা নাইট্রিক অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে না। এটি অবশ্য তামা, দস্তা, স্টার্লিং সিলভার ইত্যাদির মতো অন্যান্য মিশ্রণের সঙ্গে বিক্রিয়া করে। এই পরীক্ষাটি করার সময় আপনাকে অবশ্যই চরম সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পরীক্ষাটি করার সময় গ্লাভস এবং একটি মাস্ক পরুন। পরীক্ষা করার জন্য গয়নার উপরে আলতো করে আঁচড় দিন এবং অল্প পরিমাণ নাইট্রিক অ্যাসিড যোগ করতে একটি ড্রপার ব্যবহার করুন। যেখানে অ্যাসিড পড়ল সেই জায়গাটি সবুজ হয়ে গেলে জানবেন সেটি আসল সোনা নয়।
বি