Deprecated: str_replace(): Passing null to parameter #3 ($subject) of type array|string is deprecated in /mnt/volume_sgp1_05/dikdorshon/public_html/common/config.php on line 154
আর্থিক অনিয়মে দুর্বল ৪ ব্যাংক পেলো ৯৪৫ কোটি টাকা

ঢাকা,  শনিবার
২১ ডিসেম্বর ২০২৪

Advertisement
Advertisement

আর্থিক অনিয়মে দুর্বল ৪ ব্যাংক পেলো ৯৪৫ কোটি টাকা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৮:০৪, ৩ অক্টোবর ২০২৪

আর্থিক অনিয়মে দুর্বল ৪ ব্যাংক পেলো ৯৪৫ কোটি টাকা

আর্থিক অনিয়মে দুর্বল হ‌য়ে পড়া বেসরকারি চার ব্যাংককে ৯৪৫ কোটি টাকা ধার হিসেবে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। অর্থ সহায়তা পাওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক।

বুধবার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিশ্চয়তায় এ ধার দিয়েছে অতিরিক্ত তারল্য থাকা সবল ৫ ব্যাংক। যেসব ব্যাংক সহায়তা করেছে তারা হলো- সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, ডাচ্‌–বাংলা ও বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক।

জানা গেছে, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পেয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। এ অর্থ দিয়েছে সিটি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও ডাচ্ বাংলা ব্যাংক। প্রায় একই পরিমাণের তারল্য সহায়তা পেয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। এ ব্যাংকটিকে সহায়তা দিয়েছে সিটি ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। ন্যাশনাল ব্যাংক তারল্য সহায়তা নিয়েছে সিটি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক থেকে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সবল ব্যাংকগুলো থেকে নেওয়া ঋণের টাকা দুর্বল ব্যাংকগুলো দিতে ব্যর্থ হলে সেই টাকা ৩ দিনের মধ্যে ফেরত দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ধার নেওয়া দুর্বল ব্যাংকগুলোকে লিখিত ও মৌখিক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যক্তি আমানতকারীরা টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবেন। এই টাকা দিয়ে অন্য ব্যাংকের ধারের টাকা শোধ করা যাবে না। ব্যাংকের আগের বা বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের কেউ জমানো টাকা তুলতে পারবেন না। নতুন করে কোনো ঋণ দেওয়া যাবে না। ডলার কেনার কাজেও এই টাকা খরচ করা যাবে না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে গ্যারান্টির বিপরীতে যে টাকা ধার নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে তার ২৫ শতাংশ তারা প্রথম ধাপে পেয়েছে। এতে ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে আর টাকা ধার দেওয়া হবে না। তখন কৌশল পরিবর্তন করা হবে।

অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ইতিমধ্যে পরিবর্তন করা হয়েছে। এর সব কটি ব্যাংক এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ও নিয়ন্ত্রণে ছিল। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তৎকালীন গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার আত্মগোপনে চলে যান। এরপর গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পান অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর। তিনি যোগ দিয়েই ব্যাংক খাতের সংস্কারে মনোযোগ দেন।

যেসব ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণহীন ছিল, সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ বদলে দেওয়া হয়। একে একে ১১টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেন নতুন গভর্নর।

প্রসঙ্গত, সংকটে পড়া সাত ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াতে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকার তারল্য-সহায়তা চেয়েছে। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক ৫ হাজার কোটি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ৭ হাজার ৯০০ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ২ হাজার কোটি, ইউনিয়ন ব্যাংক ১ হাজার ৫০০ কোটি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক সাড়ে ৩ হাজার কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক ৫ হাজার কোটি ও এক্সিম ব্যাংক ৪ হাজার কোটি টাকা সহায়তা চেয়েছে।

Advertisement
Advertisement

Warning: Undefined variable $sAddThis in /mnt/volume_sgp1_05/dikdorshon/public_html/details.php on line 531