বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, মুহাম্মদ (সা.) মদিনায় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য মদিনার সনদ করলেন। আজকের দিনে মদিনার সনদ সামান্য বিষয় মনে হতে পারে। তবে সেকালে মানুষের শিক্ষা-দীক্ষা বিবেচনায় মদিনার সনদ বড় অর্জন। এর থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিও উন্নত করার সুযোগ রয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির সভাগৃহে আয়োজিত ‘ইসলামের অভেদ ভাব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘সংস্কৃতিবাংলা’ এর আয়োজন করে।
অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ভারতবর্ষে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বিরোধ সব সময়ই ছিল। সে বিরোধ নিয়েও মানুষ শান্তিতে সহাবস্থান করত। কিন্তু বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলনের পর থেকে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিরোধ ক্রমেই বাড়তে থাকে। একসময় এত বেশি দাঙ্গা হয়েছে, শুনেছি এতে অন্তত ১ কোটি মানুষ নিহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কিন্তু ৩০ লাখ শহীদের কথা বলা কি ঠিক হয়েছে? কেউ এটি গণনা করে দেখেনি। এটা ইতিহাসের বিকৃতি। এর ফলে জাতির জীবনে ভালো কিছু হয় না। এক জায়গায় মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠা করলে, আরও বহু জায়গার তার প্রভাবে ভিন্ন ভিন্ন মিথ্যা প্রতিষ্ঠা পায়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দেওয়ানবাগ শরিফের আশেকে রাসুল (সা.) জামে মসজিদের খতিব ফজলে রাব্বী মোহাম্মদ ফরহাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আহসানুল হাদী, সিলেটের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি ও প্রকৃতি রক্ষা পরিষদের সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম, সুফি সাধক কাজী জাবের আহম্মেদ আল জাহাঙ্গীর, লেখক ও শিক্ষক জগলুল আসাদ, আলেম ও লেখক মনযূরুল হক, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট তুহিন খান প্রমুখ। সভায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন লেখক ও গবেষক নূরুননবী শান্ত।