ঢাকা,  বুধবার
২২ জানুয়ারি ২০২৫

Advertisement
Advertisement

ইউরোপ-আফ্রিকা হামলার করার ড্রোন তৈরি করলো ইরান

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৯:৫২, ১১ জানুয়ারি ২০২৫

ইউরোপ-আফ্রিকা হামলার করার ড্রোন তৈরি করলো ইরান

নতুন ড্রোন তৈরি করলো ইরান

ইরানের সর্বশেষ আত্মঘাতী ড্রোনের সক্ষমতা ইসরাইলি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে ভয় আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। দেশটির সামরিক শক্তি সম্পর্কে রাই আল-ইয়ুমের একটি প্রতিবেদনে লেখা হয়েছেইরান গত সেপ্টেম্বরে 'শাহেদ ১৩৬ বি' ড্রোন উন্মোচন করেছে। অবাক করার মতো বিষয় হচ্ছে ড্রোনটি চার হাজার কিলোমিটার পাল্লার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাই আল-ইয়ুমের প্রতিবেদনের এই ড্রোনের হাজার কিলোমিটার পাল্লার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে, শাহেদ ১৩৬ বি তেহরান এবং প্যারিসের দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে।

তেল আবিবের উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা সূত্রগুলো স্বীকার করেছে যে, এই ড্রোন ক্লাসিক ড্রোনের তুলনায় দূরবর্তী স্থানের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার ক্ষেত্রে অন্যতম।

ইরানি ড্রোনটির চমৎকার কৌশলগত ক্ষমতা রয়েছে এবং স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে পারে। ক্রুজ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় এই ড্রোন কম খরচে অনেক বেশি দূরে শত্রুদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে।

ইসরাইলি সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান বছরের পর বছর ধরে কম খরচে কার্যকর সামরিক সক্ষমতা জোরদার করার চেষ্টা করছে। এই ড্রোনগুলোর উৎপাদন এটি প্রমাণ করেছে যে, ইরান আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক অস্ত্র উৎপাদনের ক্ষেত্রে তার বৈজ্ঞানিক প্রকৌশলগত ক্ষমতা কতটা প্রয়োগ করতে সক্ষম এবং তারা এসব ড্রোন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক শত্রুর বিরুদ্ধে  ব্যবহার করতে পারে।

এই ড্রোনের সাহায্যে ইরান পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোসহ উত্তর আফ্রিকা বা ইউরোপের আরও দূরে শত্রুপক্ষের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে পারে। ইসলামী বিপ্লবী গার্ডবাহিনী বা আইআরজিসি ২০১১ সালে শাহেদ আত্মঘাতী ড্রোনের প্রাথমিক সংস্করণের নকশা করেছিল।

 

'শাহেদ ১৩৬ বি' সম্পর্কে জোর দিয়ে বলায় যায়: এই ড্রোনটি একটি আত্মঘাতী ধরণের এবং নির্দিষ্ট মিশনের জন্য তৈরি। ড্রোনটি বিস্ফোরক বহন করতে এবং লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম। এই ধরণের ড্রোন তাদের বিশেষ নকশা এবং উচ্চ ধ্বংসাত্মক ক্ষমতার কারণে সামরিক অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

'শাহেদ ১৩৬ বি' ড্রোনের প্রকাশিত স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী, এই ড্রোনের পাল্লা ,০০০ কিলোমিটার এবং ৫০ কিলোগ্রাম ওজনের ওয়ারহেড রয়েছে। এই ড্রোনের আনুমানিক গতি বিবেচনা করলে, সর্বোচ্চ গন্তব্যে পৌঁছাতে এটিকে ১৬ থেকে ২০ ঘন্টা উড়তে হবে; ঘোষিত স্পেসিফিকেশনের বিবেচনায়, এমন ড্রোন বিশ্বে নজিরবিহীন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী তাদের ড্রোন সক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা করেছে এবং নতুন ড্রোন উন্মোচনের মাধ্যমে তাদের প্রতিরক্ষামূলক এবং আক্রমণাত্মক ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। শাহেদ ১৩৬ ড্রোন কৌশলগত অস্ত্রের মধ্যে অন্যতম যা বিভিন্ন রণক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়।

Advertisement
Advertisement

Notice: Undefined variable: sAddThis in /home/dikdorshon/public_html/details.php on line 531