
হুমায়ুন কবীর
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর (নন-টেক) হুমায়ুন কবীরের বিপুল পরিমাণ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার নামে ময়মনসিংহ, গাজীপুর ও ঢাকায় ৫১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ জমি রয়েছে, যার বর্তমান বাজারমূল্য ১০০ কোটির বেশি।
দুদকের অনুসন্ধানে ২০ কোটি ১৭ লাখ টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ ও সাড়ে ১৬ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হুমায়ুন কবীর, তার স্ত্রী বেবী আলিয়া হাসনাত ও বাবা আলী হোসেনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুদক।
অবৈধ সম্পদের সন্ধান
দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে—
- হুমায়ুন কবীরের নামে ৪৪৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ জমি, যার বাজারমূল্য ১১৫-১২০ কোটি টাকা।
- তার স্ত্রী বেবী আলিয়া হাসনাতের নামে ৭০ শতাংশ জমি, যার বাজারমূল্য ১৫-১৮ কোটি টাকা।
- স্কাবো মেডিকেল টেকনোলজি (প্রাইভেট) লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ১,৩৫০টি শেয়ার।
- বিদেশে যাতায়াতের রেকর্ড (সিঙ্গাপুর ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশ)।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, তিনি সম্পদ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর করে নিজের নামে ফিরিয়ে নেন এবং অবৈধ সম্পদের বৈধতা দিতে বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করেন।
মামলার বিস্তারিত
- প্রথম মামলা: হুমায়ুন কবীর, তার স্ত্রী ও বাবার বিরুদ্ধে ১৩ কোটি ৬ লাখ ১২ হাজার টাকার সম্পদ গোপন ও ১৫ কোটি ৭১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ।
- দ্বিতীয় মামলা: তার স্ত্রী, স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার সম্পদ গোপন ও ৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হুমায়ুন কবীর দাবি করেন, তার সব সম্পদের বৈধ উৎস রয়েছে এবং তিনি দুদকে সম্পদের হিসাব দিয়েছেন। তবে দুদকের অনুসন্ধানে তার সম্পদের প্রকৃত পরিমাণ ঘোষিত সম্পদের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এই মামলাগুলো দুদকের চলমান দুর্নীতি দমন কার্যক্রমের অংশ। হুমায়ুন কবীরের বিপুল সম্পদ অর্জনের বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসায় এখন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তদন্ত চলবে।