
চীনে বাংলাদেশি রোগীদের যাত্রা
চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে চিকিৎসা সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রথম দফায় ১৪ জন বাংলাদেশি রোগী উন্নত চিকিৎসা নিতে চীনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। আজ সোমবার (১০ মার্চ) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের বিদায় জানানো হয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানান, রোগীদের সঙ্গে তাদের পরিবার, চিকিৎসক, ট্যুর অপারেটর এবং সাংবাদিকসহ মোট ৩১ জনের একটি প্রতিনিধি দল চীনে যাচ্ছে। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশি রোগীরা বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, তাই অন্তর্বর্তী সরকার চীনের সহায়তা চেয়েছিল, এবং চীনা সরকার ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।'
চীনে চিকিৎসার সুযোগ ও খরচ
রাষ্ট্রদূত ইয়াও জানান, বাংলাদেশি রোগীদের জন্য বিমান ভাড়া কমানোর চেষ্টা চলছে এবং ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা অনুসরণ করলেই ভিসা পাওয়া যাবে।
প্রতিনিধি দলের সদস্য ড. রাশেদুল হাসান বলেন, 'চীন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন ও ক্যান্সারের মতো গুরুতর রোগের চিকিৎসায় অত্যন্ত উন্নত। তবে অনেক বাংলাদেশি এ সুযোগ সম্পর্কে অবগত নন।' তিনি আরও জানান, চীনে প্রশিক্ষণ নিয়ে চিকিৎসকরা দেশে উন্নত সেবা দিতে পারবেন।
একজন ট্র্যাভেল এজেন্ট বলেন, 'চীনে চিকিৎসার খরচ ভারতের চেন্নাই, দিল্লি, ব্যাঙ্গালুরু বা থাইল্যান্ডের মতোই, কিছু ক্ষেত্রে আরও সাশ্রয়ী।'
বাংলাদেশ-চীন স্বাস্থ্য খাতে নতুন দিগন্ত
পররাষ্ট্র সচিব মিজানুর রহমান এই উদ্যোগকে 'বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায়' হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি চীনা রাষ্ট্রদূত জানান, চীনের ইউনান প্রদেশের তিনটি শীর্ষস্থানীয় হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের গ্রহণ করবে। উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো চিকিৎসা সেবার প্রক্রিয়া সহজ করতে ভিসা সুবিধা ও দোভাষী নিয়োগের বিষয়ে কাজ করছে।
সম্প্রতি চীন সফরের সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জনস্বাস্থ্য খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রস্তাব দেন এবং চীনকে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা ও হাসপাতাল প্রকল্পে সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান।