ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
১০ এপ্রিল ২০২৫

Advertisement
Advertisement

গাজায় ১৫ জরুরি সেবা কর্মীকে ‘ভুল করে’ হত্যার দাবি ইসরায়েলের, ভিডিওতে মিলেছে বিপরীত চিত্র

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৭:২৭, ৬ এপ্রিল ২০২৫

গাজায় ১৫ জরুরি সেবা কর্মীকে ‘ভুল করে’ হত্যার দাবি ইসরায়েলের, ভিডিওতে মিলেছে বিপরীত চিত্র

গাজা

গাজা উপত্যকার রাফাহ অঞ্চলে ১৫ জরুরি সেবা কর্মীকে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে হত্যার ঘটনা নিয়ে বিতর্ক তীব্রতর হচ্ছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) স্বীকার করেছে, তারা ‘ভুল করে’ গুলি চালিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে ঘটনার মোবাইল ভিডিও ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য তাদের দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

গত ২৩ মার্চ গাজার রাফাহ এলাকায় ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস), জাতিসংঘ এবং গাজার সিভিল ডিফেন্সের তিনটি অ্যাম্বুলেন্স ও গাড়িতে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণের ঘটনায় ১৫ জন কর্মী নিহত হন।

শুরুতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছিল, আলো নিভিয়ে সন্দেহজনকভাবে গাড়িগুলো এগিয়ে আসছিল, এবং এসব গাড়ির চলাচল নিয়ে তাদের সঙ্গে কোনো সমন্বয় ছিল না। তবে নিহত প্যারামেডিক রেফাত রাদওয়ানের মোবাইল ভিডিওতে দেখা গেছে, গাড়িগুলোর আলো জ্বলছিল এবং কর্মীরা প্রতিফলকযুক্ত ইউনিফর্ম পরে ছিলেন।

আইডিএফ জানিয়েছে, হামলার সময় তারা ধারণা করেছিল, ওই জরুরি সেবার কর্মীরা সশস্ত্র এবং হুমকিস্বরূপ। তবে তারা এখন স্বীকার করেছে, নিহতরা কেউই সশস্ত্র ছিলেন না এবং তাদের আগের ভাষ্য ছিল ‘ভুল’।

এক আইডিএফ কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার আগে ইসরায়েলি সেনারা তিন হামাস সদস্য বহনকারী একটি গাড়ির দিকে গুলি চালায়। পরে অ্যাম্বুলেন্সগুলো ঘটনাস্থলে পৌঁছালে নজরদারি পর্যবেক্ষকরা সেগুলোকে ‘সন্দেহজনকভাবে অগ্রসর হওয়া’ হিসেবে রিপোর্ট করলে সেনারা গুলি চালায়।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ভোর হবার আগেই গুলিবর্ষণ শুরু হলে গাড়িগুলো রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে শেষবারের মতো রেফাত রাদওয়ানকে প্রার্থনা করতে দেখা যায়। পরদিন সেনারা গাড়িগুলো সরিয়ে নেয় এবং নিহতদের মরদেহ বালিতে পুঁতে রাখে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা না থাকায় এক সপ্তাহ পর উদ্ধারকারী দল মরদেহগুলোর খোঁজ পায়। তখন রেফাত রাদওয়ানের মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ভিডিও উদ্ধার হয়।

ঘটনার স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট ও একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা। আইডিএফ বলেছে, তারা ‘ঘটনার ক্রম ও পরিস্থিতি বোঝার জন্য’ একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে।

ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধের প্রশ্ন আবারও সামনে এসেছে। নিহতদের পরিবার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন নিরপেক্ষ তদন্ত এবং জবাবদিহির দাবি জানাচ্ছে।

Advertisement
Advertisement

আরো পড়ুন  


Notice: Undefined variable: sAddThis in /home/dikdorshon/public_html/details.php on line 531