
ইরানের নতুন ড্রোনবাহী যুদ্ধজাহাজ
ইরান সম্প্রতি উন্মোচন করল তাদের অত্যাধুনিক ড্রোনবাহী যুদ্ধজাহাজ ‘শহীদ বাহমান বাকেরি’, যা দেশের সামরিক সক্ষমতায় এক বৈপ্লবিক সংযোজন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কমিশনিং অনুষ্ঠানে ইরানের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা জাহাজটির কৌশলগত গুরুত্ব এবং বহুমুখী অপারেশনাল সক্ষমতা তুলে ধরেন। পার্সটুডের প্রতিবেদন অনুসারে, এই জাহাজটির রয়েছে একাধিক যুগান্তকারী বৈশিষ্ট্য।
⚓ জাহাজের গঠন ও বহন ক্ষমতা:
-
দৈর্ঘ্য: ২৪০ মিটার
-
উচ্চতা: ২১ মিটার
-
রানওয়ে: ১৮০ মিটার লম্বা, যা ড্রোন ও হেলিকপ্টার উড্ডয়ন-অবতরণের জন্য ব্যবহৃত হয়
-
বহন ক্ষমতা: ৬০টি ড্রোন এবং ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র লাঞ্চার
-
মিসাইল রেঞ্জ: ৭৫০ কিমি থেকে ২০০০ কিমি পর্যন্ত
? যুদ্ধ ও গোয়েন্দা সক্ষমতা:
-
বিভিন্ন ধরণের যুদ্ধ ও নজরদারি ড্রোন বহনে সক্ষম
-
ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের প্ল্যাটফর্ম যুক্ত
-
২২,০০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত অভিযান চালাতে সক্ষম, যা বছরের পর বছর তীরে না ফিরেও সমুদ্রে সক্রিয় থাকতে পারবে
?️ নিরাপত্তা ও বহুমুখী ভূমিকা:
-
সামরিক অভিযানের পাশাপাশি জীবিকা ও অর্থনৈতিক শিপিং লাইন রক্ষা করতে সক্ষম
-
জাহাজে রয়েছে ড্রোন ও হেলিকপ্টারের জন্য বিশেষ হ্যাঙ্গার, যা দীর্ঘ সময়ের জন্য সাগরে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সাহায্য করে
-
ইলেকট্রনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম, ডাইভিং দল, ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন দল, এবং যুদ্ধ প্রস্তুত স্যুট অন্তর্ভুক্ত
? চিকিৎসা ও সুবিধা:
-
রয়েছে একটি ৬ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, অপারেটিং রুম, পরীক্ষাগার, এবং ফার্মেসি
-
কৃত্রিম ঘাসে আবৃত একটি মাঠ যেখানে নাবিকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম সম্পাদন করা সম্ভব
? অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য:
-
উন্নত সেন্সর ও নজরদারি প্রযুক্তি
-
টহল ও শত্রু শনাক্তকরণে দক্ষ
-
ভূ-পৃষ্ঠ বাহিনীকে সহায়তা করার সক্ষমতা
‘শহীদ বাহমান বাকেরি’ শুধু একটি ড্রোন ক্যারিয়ার নয়, বরং এটি ইরানের সামরিক প্রযুক্তির এক নতুন যুগের প্রতীক। ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টার এবং আধুনিক ইলেকট্রনিক সরঞ্জামসহ বহুমুখী সক্ষমতাসম্পন্ন এই জাহাজ ইরানের নৌবাহিনীকে সমুদ্রপথে আরও ক্ষমতাধর ও কৌশলগতভাবে পরিপূর্ণ করে তুলেছে।