ঢাকা,  বুধবার
১৬ এপ্রিল ২০২৫

Advertisement
Advertisement

চারুকলা থেকে বের হলো বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা

প্রকাশিত: ১১:০২, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

আপডেট: ১১:৩৪, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

চারুকলা থেকে বের হলো বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা

বর্ষবরণ

আলোচনা সমালোচনার পর প্রতিবারের মঙ্গলশোভাযাত্রা এবার বের হলো ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রানামে। এবারের প্রতিপাদ্য—‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান

পয়লা বৈশাখের সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে বের হওয়া এই শোভাযাত্রায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড়, টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র ও দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে।

আগেই বলা হয়েছিল, এবারের শোভাযাত্রায় ২৮টি জাতিগোষ্ঠী, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন দেশের অতিথিরা অংশ নিচ্ছেন। শোভাযাত্রায় রয়েছে সাতটি বড় মোটিফ, সাতটি মাঝারি মোটিফ ও সাতটি ছোট মোটিফ।

গত শনিবার ভোরে চারুকলা অনুষদের ভেতরে শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা দুটি মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ২০ ফুট উচ্চতার ‘স্বৈরাচারের মুখাকৃতি নামে মোটিফটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। তার পাশেই রাখা ‘শান্তির পায়রা মোটিফের একটি ডানা ও লেজের খানিকটা পুড়ে যায়।

স্বৈরাচারের মুখাকৃতি মোটিফটি বাঁশ ও বেত দিয়ে দাঁতাল মুখের এক নারীর মুখাবয়ব বানানো হয়। মাথায় খাড়া চারটি শিং, হাঁ করা মুখ, বিশালাকৃতির নাক ও ভয়ার্ত দুটি চোখ। এটিকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি হিসেবে ধারণা করেছিলেন অনেকে।

ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কালো টি-শার্ট ও বাদামি প্যান্ট পরা এক যুবক চারুকলা অনুষদের দক্ষিণ দিকের গেট টপকে ভেতরে প্রবেশ করেন। যুবকটি ভেতরে এসে স্বৈরাচারের মুখাকৃতি মোটিফে তরল দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেন। তারপর আর তাঁকে দেখা যায়নি।

শোভাযাত্রার জন্য বানানো ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি পুড়ে যাওয়ার পর সেটি নতুন করে তৈরির কাজ শুরু করেন চারুকলার প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। গত শনিবার রাতেই থার্মোকল বা সোলা দিয়ে নতুন করে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি বানানোর কাজ শুরু হয়। এ ছাড়া শোভাযাত্রার জন্য তরমুজের ফালি, বাঘ, ইলিশ, শান্তির পায়রা ও পালকির মোটিফ তৈরির কাজ গতকাল রোববার রাতের মধ্যেই শেষ করা হয়।

Advertisement
Advertisement

আরো পড়ুন  


Notice: Undefined variable: sAddThis in /home/dikdorshon/public_html/details.php on line 531