ঢাকা,  বুধবার
১৬ এপ্রিল ২০২৫

Advertisement
Advertisement

পূর্বাচল প্লট কেলেঙ্কারি: শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৪:২০, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

আপডেট: ১৪:২৭, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

পূর্বাচল প্লট কেলেঙ্কারি: শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

হাসিনা ও তার পরিবার

রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে রাজউকের প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এই আদেশ দেন।

অভিযোগের পটভূমি

পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দুদক ছয়টি মামলা দায়ের করে, যার মধ্যে আজকের মামলাটি অন্যতম। অনুসন্ধানে উঠে আসে, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে এবং প্রভাব খাটিয়ে ৬০ কাঠা জমির প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন, যা ছিলো প্রকল্প নীতিমালার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত প্রধান ব্যক্তিবর্গ

আজকের মামলায় যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন:

  • সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়

  • গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার

  • সিনিয়র সহকারী সচিব পূর্ণবী গোলদার

  • অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন

  • সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার

  • রাজউকের সাবেক ও বর্তমান উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, যেমন: আনিছুর রহমান মিঞা, খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, মাজহারুল ইসলাম, নায়েব আলী শরীফ, নুরুল ইসলাম এবং শফি উল হক।

পূর্ববর্তী মামলাগুলোর আপডেট

এ মাসের শুরুতেও পূর্বাচল প্লট কেলেঙ্কারি সংশ্লিষ্ট পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক, এবং শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

তাছাড়া, ১০ এপ্রিল একটি মামলায় শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলর বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

দুদকের বক্তব্য

দুদক জানায়, ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর তারা অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়ে পূর্বাচল প্রকল্পের জমি বরাদ্দে গুরুতর অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির ঘটনা ঘটেছে। এরপর ২০২৪ সালের ১০ মার্চ ছয়টি মামলার অভিযোগপত্র অনুমোদন করে দুদক, যা পরবর্তীতে আদালতে দাখিল করা হয়।

প্রাসঙ্গিকতা ও প্রভাব

এই মামলাগুলো শুধু দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নয়, বরং সরকারি প্রশাসন ও রাজউকসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও, যা এই মামলাগুলোকে নজিরবিহীন গুরুত্বের জায়গায় নিয়ে গেছে।

দুদকের এ ধরনের পদক্ষেপ বাংলাদেশে উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান আইনি প্রক্রিয়াকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলো, যা দেশের বিচারব্যবস্থা ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

Advertisement
Advertisement

আরো পড়ুন  


Notice: Undefined variable: sAddThis in /home/dikdorshon/public_html/details.php on line 531