
গাজা
গাজায় চলমান সংঘর্ষের মধ্যে নতুন করে যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। মিসর ও কাতার—এই দুই মধ্যস্থতাকারী দেশের প্রতিনিধিরা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের কাছে এই প্রস্তাব পৌঁছে দিয়েছেন। তবে হামাস জানিয়েছে, প্রস্তাবিত চুক্তির অন্তত দুটি শর্ত তাদের জন্য আলোচনারও অযোগ্য।
প্রস্তাব নিয়ে হামাসের সংরক্ষিত অবস্থান
মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আল–কাহেরা নিউজ টিভি সোমবার এ খবর প্রকাশ করে জানায়, প্রস্তাবটি এখন হামাসের হাতে রয়েছে এবং তারা পর্যালোচনা করছে। এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ‘যত দ্রুত সম্ভব’ তারা তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে।
তবে হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সাফ জানিয়ে দেন, ইসরায়েলের প্রস্তাবে এমন দুটি উপাদান রয়েছে, যেগুলোর আলোচনাও সম্ভব নয়।
মূল দাবি থেকে পিছু হটছে না হামাস
হামাস পরিষ্কার করে বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতির যেকোনো প্রস্তাবে যেতে রাজি, যদি ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে এবং তাদের সব সেনা গাজা থেকে প্রত্যাহার করে। এই দাবি পূরণ না হলে তারা চুক্তিতে যাবে না।
হামাস নেতা সামি আবু জুহরি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “ইসরায়েলকে অবশ্যই শত্রুতা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে। এই দাবিটি প্রস্তাবে প্রতিফলিত হয়নি।”
নতুন মাত্রা: হামাসের নিরস্ত্রীকরণের দাবি
ইসরায়েল তাদের এই প্রস্তাবে প্রথমবারের মতো হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের প্রস্তাব দিয়েছে, যা হামাস দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। সামি আবু জুহরি বলেন, “এ ধরনের প্রস্তাব হামাসের অস্তিত্ব ও প্রতিরোধ সংগ্রামের বিরোধী, তাই এটি গ্রহণযোগ্য নয়।”
ইসরায়েলের নীরবতা, মধ্যস্থতাকারীদের প্রত্যাশা
ইসরায়েল এখনো এই প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। তবে মিসরের রাষ্ট্রীয় তথ্য পরিষেবার প্রধান আশা প্রকাশ করে বলেন, “হামাস জানে এখন সময় কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই তারা শিগগিরই উত্তর দেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
পটভূমি: সাময়িক যুদ্ধবিরতির পর নতুন হামলা
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারির শেষে গাজায় একটি স্বল্পমেয়াদি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল। তবে মার্চে তা শেষ হলে ইসরায়েল পুনরায় হামলা শুরু করে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।