
সীমা সাজদেহ
সালমান খানের ভাই সোহেল খানের সাবেক স্ত্রী সীমা সাজদেহ একসময় ছিলেন খান পরিবারের সদস্য। ১৯৯৮ সালে সোহেল খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। এই দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে—নির্বাণ ও ইয়োহান। তবে ২০০২ সালে তাঁদের দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটে। বিচ্ছেদের পর সীমা একা জীবনযাপনের অভিজ্ঞতা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে।
?️ বিবাহবিচ্ছেদ ছিল জীবনের মোড় ঘোরানো মুহূর্ত
‘দ্য হিলিং সার্কেল’ নামের একটি সাক্ষাৎকারে সীমা জানিয়েছেন, বিবাহিত জীবনে তিনি অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু বিচ্ছেদের পর জীবনের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে তাঁকে অনেক কিছু একা সামলাতে হয়েছে—স্বাস্থ্যবীমা সংক্রান্ত জটিলতা থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনের নানা সিদ্ধান্ত। এই অভিজ্ঞতাগুলোই তাঁকে আত্মনির্ভরশীল ও পরিণত করেছে বলে মনে করেন সীমা।
?? ‘এখন আমি সম্পূর্ণ’—নিজের সঙ্গে সময় কাটিয়ে ভালো থাকার শিক্ষা
বর্তমানে একা ডিনার করা, একা ঘুরতে যাওয়া কিংবা একা সময় কাটানো—এসব কিছুতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সীমা। তাঁর ভাষায়, "আমি এখন নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসি। মনে হয় আমি নিজেই সম্পূর্ণ।"
? নতুন প্রেমে সীমা, সঙ্গী বিক্রম আহুজা
এই সাক্ষাৎকারে সীমা তাঁর বর্তমান সম্পর্ক নিয়েও মুখ খোলেন। তিনি এখন প্রেম করছেন বিক্রম আহুজার সঙ্গে। সীমা বলেছেন, নতুন সম্পর্কেও তিনি আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন ও পরিণত।
? ছেলেদের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত
এর আগেও নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘Fabulous Lives of Bollywood Wives’-এ সীমা নিজের ব্যক্তিগত জীবনের নানা দিক তুলে ধরেছিলেন। একটি পর্বে তিনি বলেন, বড় ছেলে নির্বাণ তাঁর বান্দ্রার বাড়ি ছেড়ে ওরলিতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে খুশি হয়নি। তবে ছোট ছেলে ইয়োহানের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি—যাতে সে খেলার সঙ্গী পায় এবং বেড়ে ওঠে প্রাণবন্ত পরিবেশে।
বিচ্ছেদের পরও শুরুতে সীমা সোহেলের বাড়ির কাছেই থাকতেন, যাতে সন্তানদের জন্য যোগাযোগ সহজ হয়। সন্তানদের সুস্থ মানসিক বিকাশের জন্য তিনি সব সময় সচেষ্ট থেকেছেন।
? শেষ কথা
একসময় যিনি ছিলেন বলিউডের আলোচিত খান পরিবারের পুত্রবধূ, সেই সীমা সাজদেহ এখন নিজের পরিচয় গড়েছেন নতুনভাবে—আত্মবিশ্বাসী, স্বাধীন ও আত্মনির্ভরশীল এক নারী হিসেবে। জীবনের কঠিন সময়কে শক্তিতে রূপান্তরিত করে আজকের সীমা হয়ে উঠেছেন অনেক নারীর জন্য প্রেরণা।