এখন থেকে হোয়াটসঅ্যাপের ডেটা ব্যাকআপের জন্য গ্রাহকেরা গুগলের যে ফ্রি স্টোরেজ পেত, সেটি আর পাবে না। ফলে হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট ও মিডিয়ার ব্যাকআপ নিয়ে ব্যবহারকারীদের দুশ্চিন্তা বাড়লো।
গুগলের মাত্র ১৫ জিবি স্টোরেজ বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়। এটি গুগলের ফটোজ, ড্রাইভ, জিমেইল, ডকস, ড্রাইভ, মিট, ক্যালেন্ডারের ক্ষেত্রে এই স্টোরেজ ব্যবহৃত হয়। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপের ব্যাকআপও যদি এই জায়গা দখল করে, তাহলে গুগল ড্রাইভের স্টোরেজ খুব তাড়াতাড়ি পূর্ণ হয়ে যাবে।
হোয়াটসঅ্যাপে প্রতিদিন তথ্য আদান-প্রদান হয় । এগুলোর ব্যাকআপ না করা হলে ডিভাইস পরিবর্তন করলে এসব ডেটা আর পাওয়া যাবে না। যাঁরা ব্যক্তিগত কাজের বাইরেও পেশাদারি কাজে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন, তাঁদের জন্য তা আরও দুর্ভাগ্যজনক।
তাই বিপুলসংখ্যক হোয়াটসঅ্যাপের ডেটা ব্যাকআপ রাখা যাদের জরুরি, তারা গুগল স্টোরেজ থেকে অন্যান্য ফাইল সরিয়ে ফেলবে, অথবা গুগলের অতিরিক্ত স্টোরেজ প্ল্যান কিনতে হবে। আর স্টোরেজের দাম খুব একটা সাশ্রয়ী নয়। বর্তমানে গুগল অ্যাকাউন্টের ১০০ জিবি স্টোরেজের জন্য ১৫০ টাকা এবং ২০০ জিবি ও ২ টিবি স্টোরেজের জন্য যথাক্রমে ২৫০ টাকা ও ৭০০ টাকা প্রতি মাসে দিতে হবে।
এ ছাড়া টাকা খরচ না করতে চাইলে হোয়াটসঅ্যাপের ব্যাকআপ বন্ধ করে দিতে পারেন। ব্যাকআপ বন্ধ করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন—
১. ডিভাইসের হোয়াটসঅ্যাপ প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করুন।
২. প্ল্যাটফর্মটির সেটিংসে যান।
৩. এরপর চ্যাট অপশনে খুঁজে বের করুন এবং ব্যাকআপ অপশনে যান।
৪. ব্যাকআপ অপশনটি বন্ধ করে দিন।
আইফোনের গ্রাহকেরা হোয়াটসঅ্যাপের মিডিয়া ও চ্যাট ব্যাকআপের জন্য আইক্লাউড স্টোরেজের ওপর নির্ভর করে। সম্প্রতি গুগল স্টোরজের এই সুবিধা বন্ধের ঘোষণা দেয় কোম্পানিটি কর্তৃপক্ষ। আর এই জানুয়ারিতেই সুবিধাটি বন্ধ করল হোয়াটসঅ্যাপ।