
গুগল স্টোরেজ
ভ্রমণ কিংবা কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রিয় মুহূর্তগুলো উপভোগ করার পাশাপাশি সেগুলো ক্যামেরায় বন্দী করতে চান অনেকেই। তবে ঠিক সেই মুহূর্তে ফোনে ‘স্টোরেজ ফুল’ নোটিফিকেশন ভেসে উঠলে তা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সে ক্ষেত্রে দুটি কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে আইফোনের স্টোরেজ সহজেই খালি করা যাবে। তবে এ জন্য কোনো পুরোনো ছবি ও ভিডিও ডিলিট করারও প্রয়োজন পড়বে না।
দুটি বিল্ট-ইন আইওএস সেটিংসের মাধ্যমে আইফোনে যথেষ্ট পরিমাণ স্টোরেজ খালি করা যাবে—একটি স্থায়ী এবং অন্যটি সাময়িক। এই খালি জায়গায় আইফোনে সর্বশেষ সফটওয়্যার আপডেট ইনস্টল করতে, আরও ছবি এবং ভিডিও নিতে, এবং নতুন অ্যাপ ডাউনলোড করতে সাহায্য করবে।
আইফোনের ছবি ও ভিডিও অপটিমাইজ
আগের ছবি ও ভিডিও ডিলিট না করে আইফোনের স্টোরেজ খালি করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো—ডিভাইসে সংরক্ষিত ফটো এবং ভিডিওগুলো অপটিমাইজ করা।
ডিফল্টভাবে, ছবি ফটো বা ভিডিও তোলার পর সেটি পুরো রেজল্যুশন নিয়ে ডিভাইসে সেভ হয়। তাই সব সময় সবচেয়ে উচ্চ রেজল্যুশনে ছবি এবং ভিডিও ধারণ করলে সেগুলো বেশ খানিকটা জায়গা নিতে পারে। ৪কে তে ৬০ এফপিএস সেটিংসে ধারণ করার একটি মিনিটের ভিডিও প্রায় ৪০০ এমবি জায়গা নেয়—যেটি প্রায় অর্ধেক গিগাবাইট। এ জন্য ছবি ও ভিডিও অপটিমাইজ করতে হয়।
ছবি ও ভিডিও অপটিমাইজের জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন—
১. ফোনের সেটিংসে প্রবেশ করুন।
২. এরপর ফটোজ অপশন থেকে ‘অপটিমাইজ আইফোন স্টোরেজ’ অপশনটি চালু করুন। তবে এই অপশন চালু করার জন্য আইক্লাউড ফটোজ সেটিংসটি সক্রিয় থাকতে হবে।
আইফোনে কতগুলো ফটো এবং ভিডিও রয়েছে তার ওপর অপটিমাইজের সময় নির্ভর করবে। তবে এই প্রক্রিয়া শেষে হলে ডিভাইসে উল্লেখযোগ্য জায়গা খালি হবে।
এভাবে ‘উচ্চ রেজল্যুশন’ এর ছবি ও ভিডিওগুলো আইক্লাউডে স্থানান্তরিত হবে এবং ছোট ও কম রেজল্যুশন সংস্করণগুলো ডিভাইসে রাখা হবে। পরবর্তীতে ফটো অ্যাপে গিয়ে যে কোনো ছবি এবং ভিডিও উচ্চ রেজল্যুশনে ডাউনলোড করা যাবে। তবে এর জন্য এটি একটি ভালো ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হবে। সাম্প্রতিক তোলা ছবি এবং ভিডিওগুলো সম্ভবত ফুল রেজোলিউশনে থাকবে। তাই প্রতিটি ছবি বা ভিডিও ডাউনলোড করতে হবে না। তবে পর্যাপ্ত আইক্লাউড স্টোরজে না থাকলে ক্লাউড প্ল্যান আপগ্রেড করতে হবে।
আইক্লাউড কেনার জন্য আইফোনে সেটিংস অপশনে যান। এরপর নিজের নামের ওপর ট্যাপ করে আইক্লাউড অপশন নির্বাচন করুন। এখন ম্যানেজ অ্যাকাউন্ট থেকে ‘বাই মোর স্টোরেজ’ অপশনে ট্যাপ করুন। পছন্দে একটি প্ল্যান নির্বাচন করুন এবং নির্দেশনা অনুসরণ করুন।
৫০ জিবি স্টোরেজের জন্য মাসে ১ ডলার খরচ করতে হয়। আরও বড় প্ল্যানও বাছাই করা যাবে। সে ক্ষেত্রে ২০০ জিবি স্টোরেজের জন্য মানে ৩ ডলার বা ২ টিবির জন্য মাসে ১০ ডলার।
বড় অ্যাপস অফলোড করুন
আইফোনে সব অ্যাপ অনেকেরই ব্যবহার করা হয়ে ওঠে না। অনেক অ্যাপই সেখানে পড়ে থাকে, যেমন এয়ারলাইনসের অ্যাপ, থার্ড-পার্টি ক্যামেরা অ্যাপ এবং মিউজিক প্রোডাকশন অ্যাপ। মাঝেমধ্যে এগুলো ব্যবহার করলেও সম্ভবত আপনাকে দৈনন্দিন অ্যাক্সেসের প্রয়োজন নেই। তাই সেগুলো অফলোড করতে পারেন। অ্যাপ ডিভাইসে রাখার এবং মুছে ফেলার মধ্যে একটি মধ্যম পন্থা হলো এই ফিচার।
অফলোডের জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন—
১. আইফোনের সেটিংসে যান
২. এরপর জেনারেল সেকশন থেকে ‘আইফোন স্টোরেজ’ অপশন নির্বাচন। কোন অ্যাপস সবচেয়ে বেশি স্টোরেজ নিচ্ছে তা এখানে দেখা যাবে।
কিছু বিল্ট ইন অ্যাপ যেমন ফটোজ ও মেসেজেস অফলোড করা যাবে না, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
৩. যে অ্যাপ অফলোড করতে চান তার ওপর ট্যাপ করে ‘অফলোড অ্যাপ’–এ ক্লিক করুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই অ্যাপটি অফলাইনে চলে। তবে অ্যাপটি সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্টস ও ডেটা ডিভাইসে সেভ থাকবে।
কোনো সফটওয়্যার ডাইনলোডের জন্য অস্থায়ী স্টোরেজ প্রয়োজন হলে তালিকাটি দেখুন এবং প্রতিটি অ্যাপ অফলোড করে ফেলুন। প্রতি অ্যাপের জন্য অফলোড করা জায়গার পরিমাণ আলাদা হতে পারে। অ্যাপ সাইজ এর পাশে সেই সংখ্যা দেখা যাবে। তবে ‘ডকুমেন্টস অ্যান্ড ডেটা’ সেকশনের পাশে থাকা সংখ্যা বাদ দিন, কারণ তা আপনার ডিভাইসে সেভ থাকবে। সেটি মুছে ফেলতে হলে আসল অ্যাপটি মুছে ফেলতে হবে।
অ্যাপলোড করা অ্যাপটি ফিরে পেতে চাইলে ‘অ্যাপ লাইব্রেরি’তে গিয়ে ‘আইক্লাউড’ বাটনে বাটনে ট্যাপ করুন এবং আবার ডাউনলোড করুন। যদি অফলোড করা অ্যাপ হোম স্ক্রিনে থাকে, তবে সরাসরি তার ওপর ট্যাপ করে ডাউনলোড করা যাবে।