ঢাকা,  শনিবার
২৬ এপ্রিল ২০২৫

Advertisement
Advertisement

আইপিভি ৬ সক্ষমতায় নতুন মাইলফলক ছুঁলো এশিয়া, বিশ্বে দ্বিতীয় অঞ্চল হিসেবে অর্ধেকের বেশি সক্ষমতা অর্জন

প্রকাশিত: ১৫:১৮, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

আইপিভি ৬ সক্ষমতায় নতুন মাইলফলক ছুঁলো এশিয়া, বিশ্বে দ্বিতীয় অঞ্চল হিসেবে অর্ধেকের বেশি সক্ষমতা অর্জন

ইন্টারনেট ব্যবহার

এশিয়া মহাদেশ ইন্টারনেট ব্যবহারের এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঞ্চল হিসেবে ৫০ শতাংশ আইপিভি ৬ (ইন্টারনেট প্রোটোকল ভার্সন ৬) সক্ষমতা অর্জন করেছে এই অঞ্চল। এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টার (এপিএনআইসি)-এর গবেষণাগার পরিচালিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।

এশিয়ার শীর্ষে চীন ও ভারত

এ অঞ্চলের আইপিভি ৬ সক্ষমতার শীর্ষে রয়েছে ভারত (৭৮.১৬%), এরপর রয়েছে চীন (৪৫.২৮%) এবং পাকিস্তান (২০.৫৯%)। এশিয়ার এই অগ্রগতির পেছনে রয়েছে ব্যাপক সংখ্যক সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, দৃঢ় জাতীয় নীতিমালা এবং বৃহৎ বিনিয়োগ।

আইপিভি ৬ প্রযুক্তি শুধু ঠিকানা সংখ্যা বাড়ায়নি, বরং এনক্রিপশন, গোপনীয়তা, উন্নত রাউটিং, এবং মোবাইল নেটওয়ার্কে কার্যকারিতা বৃদ্ধিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা এনেছে।

এপিএনআইসি মহাপরিচালকের মন্তব্য

এক ব্লগ পোস্টে এপিএনআইসি-এর মহাপরিচালক জিয়া রং লো বলেন, “এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা আইপিভি ৬ নিয়ে আঞ্চলিক যাত্রার ২৫ বছর পর অর্জিত হয়েছে।” তবে তিনি পরিষ্কার করেন, এই সক্ষমতা মানে নয় যে এশিয়ার সব ডিভাইস এখন আইপিভি ৬ ব্যবহার করে। এটি ৩০ দিনের গড় ট্রাফিক বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে হিসেব করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী তুলনামূলক চিত্র

  • এশিয়া: বিশ্বব্যাপী আইপিভি ৬ ব্যবহারকারীর ৬৪%

  • উত্তর আমেরিকা (যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা): মাত্র ৯.৬%

  • ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য এশিয়া (RIPE NCC অঞ্চল): ১৬% ব্যবহারকারী, ২৮% সক্ষমতা

  • দক্ষিণ আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান (LACNIC): ১০.৭% ব্যবহারকারী, ৩৯% সক্ষমতা

  • আফ্রিকা (AFRINIC): শুধু ৪% হোস্ট সক্ষম, মাত্র ০.৯% ব্যবহারকারী

আইপিভি ৬-এর গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

আইপিভি ৪-এ ৩২-বিট ঠিকানা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার কারণে বর্তমানে ঠিকানা সংকট স্পষ্ট। আইপিভি ৬ সেই সংকটের সমাধান এনে দিয়েছে, কারণ এটি ১২৮-বিট ঠিকানা ব্যবস্থায় ৩৪০ আনডেসিলিয়ন (৩৪০-এর পরে ৩৮টি শূন্য) ঠিকানা সৃষ্টির সুযোগ দেয়।

তাছাড়া, আইপিভি ৬-এ ডিফল্টভাবে ডেটা এনক্রিপশন এবং প্রাইভেসি এক্সটেনশন বিদ্যমান, যা ইন্টারনেট নিরাপত্তা এবং ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা রক্ষায় সহায়ক।

বিশ্লেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি

এপিএনআইসি প্রধান বিজ্ঞানী জিওফ হাস্টন জানান, যদিও আইপিভি ৪ ঠিকানার ঘাটতি রয়েছে, তবে বর্তমানে এটি এনএটি (NAT) প্রযুক্তির মাধ্যমে টিকে রয়েছে। এছাড়া সিডিএন ও ডিএনএস প্রযুক্তির কারণে ব্যবহারকারীর আইপি ঠিকানা এখন আগের মতো গুরুত্বপূর্ণ নয়।

তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, ৫জি ও ৬জি প্রযুক্তির প্রসার ঘটার সাথে সাথে আইপিভি ৬ ব্যবহারের হার বৈশ্বিকভাবে আরও বাড়বে।

Advertisement
Advertisement

Notice: Undefined variable: sAddThis in /home/dikdorshon/public_html/details.php on line 531