Deprecated: str_replace(): Passing null to parameter #3 ($subject) of type array|string is deprecated in /mnt/volume_sgp1_05/dikdorshon/public_html/common/config.php on line 154
প্রস্রাবে প্রোটিনের উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয়, কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেছে!

ঢাকা,  শুক্রবার
১৮ অক্টোবর ২০২৪

Advertisement
Advertisement

প্রস্রাবে প্রোটিনের উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয়, কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেছে!

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৬:২৩, ৩ অক্টোবর ২০২৪

প্রস্রাবে প্রোটিনের উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয়, কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেছে!

প্রোটিন শরীরের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি রোগ প্রতিরোধ, তরল ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ এবং পেশি ও হাড়ের বিকাশের জন্য অপরিহার্য। তবে কখনও কখনও প্রস্রাবে প্রোটিনের উচ্চ উপস্থিতি কিডনির সমস্যা বা অন্য কোনো অসুস্থতার সংকেত হতে পারে। যখন আমাদের কিডনি ঠিকমতো কাজ করে না, তখন প্রোটিন ফিল্টার হয়ে প্রস্রাবে চলে যেতে পারে। এই অবস্থার নাম প্রোটিনুরিয়া বা অ্যালবুমিনুরিয়া। প্রস্রাবে প্রোটিনের উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয়, আমাদের কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেছে। প্রস্রাবে প্রোটিন বলতে কী বোঝায়? প্রোটিনুরিয়া, যা প্রস্রাবে প্রোটিন ফুটো নামেও পরিচিত, একটি অবস্থা যা প্রস্রাবে রক্তবাহিত প্রোটিনের অত্যধিক পরিমাণ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। প্রোটিন হলো, প্রস্রাব বিশ্লেষণ করার জন্য ল্যাব টেস্টে পরীক্ষা করা উপাদানগুলোর মধ্যে একটি। এ চিকিৎসা অবস্থা প্রায়ই কিডনি রোগ নির্দেশ করে। আমাদের কিডনি ফিল্টার হিসেবে কাজ করে; যা সাধারণত বেশির ভাগ প্রোটিনকে এর মধ্য দিয়ে যেতে বাধা দেয়। তবে অ্যালবুমিনের মতো প্রোটিন থেকে রক্ষা পেতে পারে প্রস্রাবের মধ্যে রক্ত যখন কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়। প্রস্রাবে শেষ হওয়া এ প্রোটিনগুলো শেষ পর্যন্ত শরীর থেকে বাদ দেওয়া হয়, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। প্রোটিনুরিয়াও ঘটতে পারে যখন শরীর অতিরিক্ত পরিমাণে প্রোটিন তৈরি করে।

প্রস্রাবে আমিষ কেন যায়: আমাদের রক্তে যে প্রোটিন থাকে, তা সাধারণত কিডনির ফিল্টার দিয়ে প্রস্রাবের সঙ্গে বের হতে পারে না। প্রতিদিন ৩০ মিলিগ্রামের বেশি অ্যালবুমিন বের হওয়াটা অস্বাভাবিক। ৩০০ মিলিগ্রামের বেশি অ্যালবুমিন নিঃসরণ উদ্বেগের বিষয়। প্রস্রাবে প্রোটিন যাওয়ার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ অন্যতম। এ ছাড়া কিডনির প্রদাহ, সংক্রমণ, এসএলই বা লুপাস, অ্যামাইলয়েডোসিস এবং কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রস্রাবে প্রোটিনের নিঃসরণ ঘটাতে পারে। গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে, উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে প্রস্রাবে প্রোটিন গেলে প্রি-এক্লাম্পসিয়ার মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে। কখনও কখনও জ্বর, অতিরিক্ত পরিশ্রম বা ব্যায়াম কিংবা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও সামান্য পরিমাণ প্রোটিন প্রস্রাবে যেতে পারে। যদি ধারাবাহিকভাবে, বিশেষ করে তিন মাসের বেশি সময় ধরে প্রোটিন নিঃসরণ হয়, তাহলে তা ক্রনিক কিডনি রোগের ইঙ্গিত দিতে পারে।

কীভাবে বুঝবেন: রুটিন প্রস্রাব পরীক্ষা ছাড়া এ সমস্যা শনাক্ত করা কঠিন। এজন্য ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের প্রতি ছয় মাস বা এক বছর পর প্রস্রাবে প্রোটিন পরীক্ষা করা প্রয়োজন। প্রোটিন নিঃসরণের মাত্রা বেশি হলে শরীরে ফোলাভাব, দুর্বলতা দেখা দেয় এবং মুখ ও পায়ে পানি জমতে পারে। প্রস্রাব ঘোলাটে বা সাদা রঙের হতে পারে।
প্রস্রাবে আমিষ গেলে কোন খাবারগুলো গ্রহণ করবেন অনিয়ন্ত্রিত গ্লুকোজ এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করাই এ সমস্যার প্রধান সমাধান। কিডনির জটিলতা বা রোগ থাকলে এর চিকিৎসা করাতে হবে। পাশাপাশি, সঠিক ডায়েট পরিকল্পনাও জরুরি। প্রোটিনিউরিয়া কমাতে লো প্রোটিন ডায়েট সহায়ক হতে পারে। তবে ডায়েট থেকে পুরোপুরি প্রোটিন বাদ দেওয়া উচিত নয়। কারণ, এতে অপুষ্টি বা মাংসপেশির ক্ষয় হতে পারে। অন্যদিকে, অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরে টক্সিন হিসেবে জমা হতে পারে। তাই ওজন অনুযায়ী প্রয়োজনমতো প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, কারও ওজন ৫০ কেজি হলে তার দৈনিক ৪৫ থেকে ৫০ গ্রাম প্রোটিন খাওয়া উচিত। প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। তবে প্রক্রিয়াজাত মাছ-মাংসে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে; তাই তাজা মাছ-মাংসই খাওয়া ভালো। খাদ্যতালিকা থেকে ডাল সম্পূর্ণ বাদ না দিয়ে দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা অনুযায়ী যতটুকু দরকার, ততটুকু খাওয়া উচিত। সোডিয়াম বা লবণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করাও গুরুত্বপূর্ণ (দৈনিক ২ গ্রামের বেশি নয়)। পটাশিয়াম এবং ফসফরাসের মাত্রাও বিবেচনায় রাখা দরকার। (পটাশিয়ামের স্বাভাবিক সিরাম স্তর 3.5 থেকে 5 mmol/L। অন্যদিকে, রক্তে সোডিয়ামের স্বাভাবিক মাত্রা প্রায়  135 থেকে 145 mmol/L)। প্রোটিনিউরিয়া আক্রান্ত রোগীদের রক্তে চর্বি বেড়ে যাওয়া এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে, তাই তেল-চর্বি বিশেষত সম্পৃক্ত চর্বি কম খাওয়া উচিত।

[পুষ্টিবিদ, কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ]

Advertisement
Advertisement

Warning: Undefined variable $sAddThis in /mnt/volume_sgp1_05/dikdorshon/public_html/details.php on line 531