অধিকাংশ মানুষ থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন। অথচ তারা জানেনই না। কিংবা জানলেও খুব একটা গুরুত্ব দেন না। থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগলে নানা ধরনের সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। থাইরয়েড গ্ল্যান্ড থেকে কম বা বেশি হরমোন উৎপাদন হলে শীত শীত অনুভব, অতিধিক গরম লাগা, হুট করে মেজাজের অস্বাভাবিক পরিবর্তন, চুল পড়ে যাওয়াসহ নানাবিধ লক্ষণ দেখা দেয়। থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা কমে যাওয়াকে বলে হাইপোথাইরয়েডিজম। আর অতিরিক্ত হরমোন নিঃসৃত হওয়াকে বলে হাইপার থাইরয়েডিজম। দুই ক্ষেত্রেই ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে বা কমে যেতে পারে। দীর্ঘদিন এ সমস্যায় ভুগলে এক সময় ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধিও হতে পারে। তাই থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খেতে হবে। এর পাশাপাশি খাবার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যেসব খাবার খেলে থাইরয়েডের রোগীদের সমস্যা বাড়ে, সেসব খাবার এড়িয়ে যেতে হবে।
থাইরয়েডের রোগীরা যেসব খাবার খাবেন না
• থাইরয়েডের রোগীদের ক্রুসিফেরাস জাতীয় শাক সবজি যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকোলি, শালগম, মুলা, মুলাশাক, সরিষা, সরিষাশাক, মিষ্টি আলু ইত্যাদি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
• সয়া ও সয়া জাতীয় খাবার যেমন সয়াবিন, সয়া মিল্ক, সয়া সস, টফু, সয়াবাদাম, সয়া চাংক ইত্যাদি ভুলেও খাওয়া যাবে না।
• চেরি, এপ্রিকট, পিয়ার, রাসবেরি, স্ট্রবেরিতে গয়োট্রোজেন উপাদান থাকে। তাই হাইপোথাইরয়েডিজম সমস্যায় এ ফলগুলো খাওয়া যাবে না। খেলেও খুব কম পরিমাণে খেতে হবে।
• থাইরয়েডের সমস্যা হলে আটা-ময়দা এবং তা দিয়ে তৈরি সব ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কেননা এসব খাবারে আছে গ্লুটেন। থাইরয়েড গ্ল্যান্ডকে ঠিকমতো কাজ করতে দেয় না এই গ্লুটেন। ফলে থাইরয়েড সমস্যার লক্ষণগুলো বেড়ে যায়।
• ক্যাফেইন থাইরয়েড হরমোনের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে না। তবে এটি টি-ফোর হরমোনের শোষণ কমিয়ে দেয়। ফলে থাইরয়েড সমস্যার লক্ষণগুলো বেড়ে যায়। তাই ক্যাফেইন আছে এমন সব ধরনের পানীয় যেমন—কফি, চা, ক্যাফেইন ক্রিম, সব ধরনের কার্বনেটেড পানীয় ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে।