শীতকাল মানেই উৎসব। আর উৎসবের মরসুমে অনেক সময়েই খুব বেশি পানি খাওয়া হয়ে ওঠে না। তা ছাড়া শীতে পানি কম খাওয়ার প্রবণতা এমনিতেই থাকে। কিছু দিন পর থেকেই তার প্রভাব পড়া শুরু করে শরীরের উপর। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সেটা বোঝা যায় না। তবে কিছু ইঙ্গিতেই বোঝা যাবে আপনার পানি কম খাওয়া হচ্ছে।
ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া
অনেকের ধারণা যারা খুব বেশি ঘামেন তাদের ডিহাইড্রেশনের সমস্যা রয়েছে। কিন্তু ডিহাইড্রেশনের সমস্যা যখন অনেক বেড়ে যায় তখন ত্বক শুকিয়ে যায়। ডিহাইড্রেশনের সমস্যা রয়েছে কিনা তা বুঝতে হাতে চিমটি কেটে দেখুন। ত্বক কি অনেক ক্ষণ কুঁচকেই থাকে বা স্বাভাবিক হতে সময় নেয় তা হলে আপনার আরও পানি খাওয়া প্রয়োজন।
মাথা ধরা
মাইগ্রেনের ব্যথা অনেক সময়ে শরীরে পানির ঘাটতি থেকেই শুরু হয়। তাই সারাক্ষণ মাথা ধরে থাকলে বারে বারে পানি খান। সারা দিন ধরে মাঝেমাঝেই পানি বা অন্য কোনও পানীয় যেমন, ডিটক্স পানীয়, ফলের রস, শরবত, লাস্যি খেলে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যাবে। শরীরে পানির ঘাটতিও পূরণ হবে।
মিষ্টির প্রতি ঝোঁক
শরীরের পানি কম গেলে লিভার ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। লিভার পানির সাহায্যে গ্লাইকোজেন তৈরি করে, যা শরীর শক্তিবৃদ্ধি করে। শারীরিক পরিশ্রমের ক্ষমতা জোগায়। কিন্তু সেটা ঠিক মতো না হলে, শরীরের আরও বেশি খাবারের প্রয়োজন হবে। তাই নোনতা স্ন্যাকস, চকোলেট, মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।