ঢাকা,  বুধবার
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Advertisement
Advertisement

এফএনএসি পরীক্ষা এতো গুরুত্বপূর্ণ কেন

প্রকাশিত: ১৪:০৮, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এফএনএসি পরীক্ষা এতো গুরুত্বপূর্ণ কেন

যেকোনো গোটা বা টিউমার শনাক্ত হলে এর মধ্যে সুচ ঢুকিয়ে এফএনএসি বা ফাইন নিডল অ্যাসপিরেশন সাইটোলজি পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। এ পরীক্ষার জন্য কোনো বিশেষ প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। তবে গোটার অবস্থান ও নমুনার ধরনের ওপর নির্ভর করে চিকিৎসক কিছু বিশেষ নির্দেশনা দিতে পারেন।

প্রস্তুতি

আগে থেকে সেবন করা ওষুধ সম্পর্কে চিকিৎসককে জানান। রক্ত পাতলা করার মতো কিছু ওষুধ পরীক্ষার আগে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হতে পারে।

পরীক্ষার দিন আরামদায়ক ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। যদি কোনো রক্তপাতের ব্যাধি থাকে, তবে চিকিৎসককে বলুন। প্রয়োজনীয় ও আনুষঙ্গিক পরীক্ষার রিপোর্ট সঙ্গে নিন।

চিকিৎসক আপনাকে যেকোনো নির্দিষ্ট নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলতে পারেন। শরীরের কোন জায়গায় গোটা আছে, তার ওপর নির্ভর করে শুয়ে থাকতে বা আরামে বসতে বলা হবে। সুচ ঢোকানোর সময় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো চেতনানাশকের দরকার হয় না।

নমুনা সংগ্রহ

সুই ব্যবহার করে গোটা থেকে কিছু কোষ বা তরল নেওয়া হয়। পর্যাপ্ত নমুনা না হওয়া পর্যন্ত প্রক্রিয়াটির পুনরাবৃত্তি করতে হতে পারে। এরপর সুই সরিয়ে রক্তপাত কমাতে চাপ প্রয়োগ করা হবে। পরে ছোট ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়। এ পরীক্ষা বহির্বিভাগেই করা যায়, ভর্তির দরকার হয় না। জায়গাটিতে হালকা ব্যথা অনুভব করতে পারেন, যা একদুই দিনের মধ্যে কমে যাবে।

ফলাফল

যক্ষ্মা, দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণ, ক্যানসার বা ক্যানসারপূর্ব অবস্থা ইত্যাদি নির্ণয়ে এ পরীক্ষা নির্ভরযোগ্য। কিন্তু পজিটিভ মানেই যে ক্যানসার, তা নাও হতে পারে। চিকিৎসক চিকিৎসা ইতিহাস, অভিযোগ, লক্ষণ ও উপসর্গ এবং ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে ক্যানসার নির্ণয়ে আরও পরীক্ষা করাতে পারেন। প্রয়োজনে বায়োপসি করা দরকার হতে পারে।

বায়োপসি ও এফএনএসি কি এক

বায়োপসি করতে অস্ত্রোপচার দরকার হয় এবং শরীরের টিস্যুর একটি অংশ অপসারণ করে পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়। অন্যদিকে এফএনএসি করতে পুরোটা না কেটে একটি সিরিঞ্জ ব্যবহার করে কোষের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যেহেতু এফএনএসি সীমিতসংখ্যক কোষ সংগ্রহ করে, তাই এটি সম্পূর্ণ রিপোর্ট নাও দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে এফএনএসি করার পরও চিকিৎসক বায়োপসির সুপারিশ করতে পারেন।

এফএনএসি পরীক্ষা কতটা সঠিক

এ পরীক্ষার নির্ভুলতা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, যেমন পিণ্ডের অবস্থান ও ধরন, সঙ্গে চিকিৎসকের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা। অনেক সময় সঠিক স্থান থেকে পর্যাপ্ত কোষ না আনতে পারলে রিপোর্ট নির্ভুল না হতে পারে।

অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম মোস্তফা: সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ একাডেমি অব প্যাথলজি চিফ কনসালট্যান্ট (প্যাথলজি), আনোয়ারা মেডিকেল সার্ভিসেস, ধানমন্ডি, ঢাকা

Advertisement
Advertisement

Notice: Undefined variable: sAddThis in /home/dikdorshon/public_html/details.php on line 531