ঢাকা,  বুধবার
১২ মার্চ ২০২৫

Advertisement
Advertisement

রমজান মাস ও ইফতারের গুরুত্ব

প্রকাশিত: ১৭:৩৩, ৩ মার্চ ২০২৫

রমজান মাস ও ইফতারের গুরুত্ব

রোজার দোয়া

রমজান: রহমত, বরকত ও নাজাতের মাস
আরবি ১২ মাসের মধ্যে সর্বোত্তম মাস হলো রমজান। এ মাস রহমত, বরকত ও নাজাতের মাস। এ মাসের ফজিলত অপরিসীম। মুসলমানরা এই মাসে আল্লাহর নির্দেশ পালনে সিয়াম (রোজা) পালন করে। সারাদিন পানাহার ও রতিক্রিয়া থেকে বিরত থাকার পর সন্ধ্যায় ইফতার করা প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অন্যতম সুন্নাত

শুদ্ধ উপায়ে ইফতার করা সুন্নত
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন—
“যতদিন মানুষ তাড়াতাড়ি ইফতার করবে, ততদিন দ্বীন ইসলাম বিজয়ী থাকবে। কেননা, ইহুদি ও নাসারাদের অভ্যাস হলো দেরিতে ইফতার করা।” (আবু দাউদ)

ইফতারের আগে দোয়া ও ইসতেগফার
ইফতারের আগমুহূর্তে তাওবা-ইসতেগফার ও দোয়া করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ কাজ। রোজাদার সারাদিন না খেয়ে খাবার সামনে রেখেও আল্লাহর ভয়ে সময় হওয়ার অপেক্ষা করেন—এটি আল্লাহর কাছে অনেক পছন্দনীয়।

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ইফতারের সময় পড়া দোয়া:

১️⃣ ইসতেগফার:
উচ্চারণ:
“আসতাগফিরুল্লাহাল আজিম, আল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহু আল-হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম, ওয়া আতুবু ইলাইহি লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম।”

২️⃣ ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া:
উচ্চারণ:
“আলহামদুলিল্লাহি আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিরাহমাতিকাল্লাতি ওয়াসিআত কুল্লা শাইয়িন আন তাগফিরলি।”
অর্থ: ‘সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য; হে আল্লাহ! আমি তোমার সর্ববেষ্টিত রহমতের উছিলায় প্রার্থনা করছি, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।’ (ইবনে মাজাহ)

৩️⃣ রাসুল (সা.)-এর ইফতার দোয়া:
উচ্চারণ:
“জাহাবাজ জামাউ ওয়াবতালাতিল উরুকু, ওয়া ছাবাতাল আজরূ ইনশাআল্লাহ।”
অর্থ: ‘পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপশিরা সিক্ত হলো এবং আল্লাহ যদি চান, সওয়াবও স্থির হলো।’ (আবু দাউদ, মিশকাত)

উপসংহার
রমজান মাস আমাদের জন্য একটি আত্মশুদ্ধির মাস। সঠিকভাবে রোজা পালন ও ইফতারের সুন্নাত মেনে চলা আমাদের উচিত। ইফতারের সময় তাড়াহুড়া না করে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অনুসৃত দোয়া ও ইসতেগফার পাঠ করলে আল্লাহর অপার রহমত লাভ করা সম্ভব

Advertisement
Advertisement

Notice: Undefined variable: sAddThis in /home/dikdorshon/public_html/details.php on line 531