
রোজায় ব্যায়াম
পবিত্র রমজানে রোজাদারদের জন্য ব্যায়ামের ধরন ও সময় বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা স্থূলতায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা নিয়মিত ব্যায়াম চালিয়ে যেতে চাইলে কিছু সতর্কতা মেনে চলা জরুরি।
ব্যায়ামের সঠিক সময়
- সকালে (সাহ্রির পর বা সকাল বেলা): হালকা স্ট্রেচিং বা লো-ইনটেনসিটি কার্ডিও করা যেতে পারে।
- ইফতারের দেড়-দুই ঘণ্টা পর: ভারী ব্যায়াম, স্ট্রেংথ ট্রেনিং, কার্ডিও ও হাই-ইনটেনসিটি ব্যায়ামের জন্য আদর্শ সময়।
- সাহ্রির আগে (ফজরের আগে বা তাহাজ্জুদের সময়): যোগব্যায়াম বা লো-ইনটেনসিটি ব্যায়াম করা যেতে পারে।
রমজানে ব্যায়ামের ধরন
- ওয়াকিং (৩০-৪৫ মিনিট)।
- যোগব্যায়াম ও স্ট্রেচিং।
- সাইক্লিং (লো-ইনটেনসিটি)।
- বডি ওয়েট এক্সারসাইজ (পুশ আপ, স্কোয়াট, লাংস, প্ল্যাঙ্ক)।
- ভারী ব্যায়াম: ওজন তোলা, স্ট্রেংথ ট্রেনিং, রেজিস্ট্যান্স ব্যান্ড এক্সারসাইজ।
গুরুত্বপূর্ণ টিপস
✅ পর্যাপ্ত পানি পান করুন ইফতার ও সাহ্রির মাঝে, যাতে ডিহাইড্রেশন না হয়।
✅ সুষম খাবার গ্রহণ করুন—প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ভালো ফ্যাট খান।
✅ অতিরিক্ত ভারী ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন, হালকা ও মাঝারি ব্যায়ামে মনোযোগ দিন।
✅ শরীর দুর্বল লাগলে ব্যায়াম কমিয়ে দিন বা বিরতি নিন।
✅ পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন, যেন শরীর ক্লান্ত না হয়।
রমজানে সঠিক নিয়ম মেনে ব্যায়াম করলে শরীর সুস্থ ও সক্রিয় থাকবে। বিশেষজ্ঞরা ইফতারের পর ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন, যাতে শরীর প্রয়োজনীয় শক্তি পায় ও পানিশূন্যতা এড়ানো যায়।