
ডিম
আমরা প্রতিদিনই ডিম সেদ্ধ করি, কিন্তু অনেকেই জানি না যে, ডিম সেদ্ধ করা পানিতেও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। এই পানিতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস ও আয়রন থাকে, যা গাছের জন্য প্রাকৃতিক সার, চুলের যত্ন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং কম্পোস্ট সার তৈরিতে কাজে লাগানো যায়।
১. গাছের জন্য প্রাকৃতিক সার
ডিম সেদ্ধ পানি ঠান্ডা করে গাছের গোড়ায় দিলে মাটির গুণগত মান উন্নত হয় এবং গাছের পুষ্টিগ্রহণের ক্ষমতা বাড়ে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম শিকড়ের বিকাশে সাহায্য করে, আর ম্যাগনেশিয়াম ক্লোরোফিল উৎপাদন বাড়িয়ে গাছকে সতেজ রাখে। তবে অবশ্যই গরম পানি ব্যবহার করবেন না, কারণ এতে গাছ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
২. চুলের প্রাকৃতিক পরিচর্যা
ডিম সেদ্ধ পানি চুলের গোড়া মজবুত করতে, খুশকি কমাতে এবং চুলকে উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে। প্রথমে চুল সাধারণ পানিতে ধুয়ে নিন, তারপর শেষবার ঠান্ডা করা ডিম সেদ্ধ পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি বিশেষভাবে শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য উপকারী।
৩. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় ব্যবহার
ডিম সেদ্ধ পানির সামান্য ক্ষারীয় উপাদান চর্বি ও ময়লা তুলতে সাহায্য করে। রান্নাঘরের বেসিন, চুলার ওপরের অংশ বা আঠালো দাগ পরিষ্কার করতে এটি ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি এটি ডিশওয়াশার বা ওয়াশিং মেশিনে ব্যবহার করলেও জিনিসপত্র ঝকঝকে হবে এবং রাসায়নিক ক্লিনারের পরিবেশবান্ধব বিকল্প হতে পারে।
৪. কম্পোস্টিংয়ে সহায়তা করে
ডিম সেদ্ধ পানিতে থাকা খনিজ উপাদান কম্পোস্টের কার্যকারিতা বাড়ায়। এটি উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, যা জৈব বর্জ্য দ্রুত পচতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কম্পোস্টের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এই পানি কার্যকর।
ডিম সেদ্ধ পানি আর ফেলবেন না, বরং উপকারীভাবে ব্যবহার করুন!