
ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকস
বর্তমানে বাজারে সহজলভ্য হয়ে উঠেছে ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকস। বিদেশে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহৃত এই পানীয় এখন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যেও গরমে রিহাইড্রেশন ও শক্তি বৃদ্ধির মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন আর সহজলভ্যতার কারণে অনেকেই প্রতিদিনের পানীয় হিসেবেও এটি গ্রহণ করছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই পানীয় কি আসলেই শরীরের জন্য নিরাপদ?
? ইলেকট্রোলাইট কী?
‘ইলেকট্রোলাইট’ হলো এমন কিছু খনিজ লবণ যা শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরে পানি ও অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখতে, কোষে পুষ্টি পৌঁছাতে, বর্জ্য অপসারণে, স্নায়ু ও পেশির কার্যক্রম ঠিক রাখতে এবং হৃদ্যন্ত্র ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
? ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকস কীভাবে কাজ করে?
এই পানীয়তে সাধারণত সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে, যা পানিতে দ্রবীভূত হয়ে খনিজ শক্তি বহন করে। মূলত ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ, শারীরিক শক্তি পুনরুদ্ধার এবং ইলেকট্রোলাইট ঘাটতি পূরণ করতেই এগুলো গ্রহণ করা হয়।
? কারা খেতে পারেন?
-
যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম বা পরিশ্রম করেন
-
গরমে ঘেমে প্রচুর পানি হারান
-
ডায়রিয়া বা আমাশয়ের মতো সমস্যা থেকে সেরে উঠছেন
-
দীর্ঘ সময় রোদে বা গরম পরিবেশে অবস্থান করছেন
এই পরিস্থিতিতে শরীরের ইলেকট্রোলাইট ঘাটতি পূরণে এই পানীয় উপকারী হতে পারে।
? সব সময় কি দরকার পড়ে?
না। যাঁরা পর্যাপ্ত পানি পান করছেন এবং প্রস্রাব স্বাভাবিক রয়েছে, তাঁদের জন্য নিয়মিত ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকস অপ্রয়োজনীয়।
অতিরিক্ত গ্রহণ করলে তা শরীরের স্বাভাবিক ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য বিঘ্নিত করতে পারে।
? কিছু সতর্কতা
-
মানহীন বা অনুমোদনহীন কোম্পানির পানীয় এড়িয়ে চলুন
-
অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনীয়ভাবে পান না করা
-
শরীরে যদি পানি বা লবণের ঘাটতি না থাকে, তবে এসব ড্রিংকস না খাওয়াই ভালো
-
প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
সাম্প্রতিক সময়ে কিছু অনুমোদনহীন কোম্পানির ড্রিংকস নিষিদ্ধ হওয়ায়, এই বিষয়ে বাছ-বিচার করে ও সচেতনভাবে গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকস প্রয়োজন অনুযায়ী এবং সঠিক পরিস্থিতিতে গ্রহণ করলে উপকার পেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনীয় গ্রহণ হতে পারে বিপজ্জনক। সঠিক পণ্যের বাছাই এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।