টেলি অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি ৪২ এর গণ্ডি পার করলেও এখনও গ্ল্যামারের ক্ষেত্রে কন্যা পলক তিওয়ারিকে সমানতালে টেক্কা দিয়ে চলেছেন। তার চোখেমুখে ফুটে উঠছে লাস্যময়তা।
মুম্বইয়ের একটি হোটেলে ক্যামেরার লেন্সে এভাবেই ধরা পড়েছেন শ্বেতা। আলো-আঁধারিতে লাস্যময়ী রূপে দেখা গিয়েছে তাকে।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে নিজের কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন শ্বেতা। আর তাতেই নেট দুনিয়ায় শুরু হয়েছে মাতামাতি। ছোট পর্দার বহু তারকা ছবিগুলোতে ভালবাসা এঁকে দিয়েছেন। তারকাদের পাশাপাশি নেটব্যবহারকারীরাও শ্বেতার নতুন ‘লুক’ দেখে হতবাক।
স্বল্প পোশাকে ধরা দিলেও এই কারণে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন শ্বেতা। দ্বিতীয় বার মা হওয়ার পর শ্বেতার ওজন বেড়ে ৭৩ কেজি হয়। অতিরিক্ত ওজনের কারণে কাঁধের সমস্যাতেও ভুগতে শুরু করেন তিনি।
ওজন বাড়তে থাকার সময়েই শ্বেতার কাছে ‘হম তুম অ্যান্ড দেম’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের প্রস্তাব আসে। সেই ধারাবাহিকে তাকে যে চরিত্রের জন্য বেছে নেওয়া হয়, তার জন্য শ্বেতার ওজন ঝরানোরটা জরুরি হয়ে পড়ে। সেই মুহূর্তে পলকের উৎসাহে ওজন কমানোর চেষ্টা শুরু করেন শ্বেতা।
২০০১ সালে ‘কসৌটি জিন্দেগি কে’ হিন্দি ধারাবাহিকে অভিনয়ের মাধ্যমে ছোটপর্দায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন শ্বেতা। প্রেরণা শর্মার চরিত্রে দর্শকের মনে জায়গা করে নেন শ্বেতা। সাত বছর এই ধারাবাহিকে এক টানা অভিনয় করেন তিনি।
এর পর খুব কম সময়েই নিজস্ব অনুরাগী মহলও তৈরি করে ফেলেন শ্বেতা। ইনস্টাগ্রামে বর্তমানে তার অনুরাগীর সংখ্যা ৪৪ লক্ষের বেশি।
শ্বেতা একমাত্র কন্যা পলক। গত এপ্রিল মাসেই মুক্তি পেয়েছে ‘কিসি কি ভাই কিসি কা জান’। এই সিনেমায় সালমানের খানের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পান পলক।
হার্ডি সন্ধুর ‘বিজলি বিজলি’ গানের মিউজ়িক ভিডিয়োয় দেখা গেছে তাকে। ২০২২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রোজি: দ্য স্যাফরন চ্যাপ্টার’ ছবিতে প্রথম অভিনয় করেন পলক।