পর্ণগ্রাফি বন্ধ করতে রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞা, নজরদারি অনেক কিছুই করেছে সরকার। কিন্তু এই ধরনের ছবি তৈরি বন্ধ করা যায়নি। কমেনি পর্নোগ্রাফির জনপ্রিয়তাও। যৌন চাহিদা পরিতৃপ্ত করতে আজও বহু মানুষ নীলছবির পর্দায় চোখ রাখেন।
স্মার্টফোনের এই যুগে নীলছবি সহজলভ্য। কোথাও টাকা খরচ করে, কোথাও বিনামূল্যে দেখা যায়। বাজারে অজস্র পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইট বিরাজমান। তাদের জনপ্রিয়তাও গগনচুম্বী।
কিন্তু এই পর্নোগ্রাফির শুরু কোথা থেকে? আর কবে থেকে ব্যক্তির নিভৃত পরিসরে জায়গা করে নিল নীলছবি? কোথায়, কী ভাবে তার শ্যুটিং হল?
প্রথম সবাক চলচ্চিত্রের কয়েক বছর পরেই পর্নোগ্রাফির সূচনা। প্রথম পর্নোগ্রাফি সিনেমার শুটিং হয় ১৮৯৬ সালে। চলচ্চিত্রের নাম ‘অশ্লীলায়ন’।
ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মাতা ইউজিন পিরৌ এবং অ্যালবার্ট কির্চনার প্রথম যৌনতা ঘটিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করেন। স্বল্প দৈর্ঘ্যের সেই ছবির নাম দেওয়া হয় ‘লে কৌচের দে লা মারি’।
পৃথিবীর প্রথম পর্ন বা অশ্লীল ছবি হিসাবে সাত মিনিটের ‘লে কৌচের দে লা মারি’র পরিচয় পাওয়া যায়। এই ছবিতে এক যুবতীর স্নানদৃশ্যের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করা হয়। শৌচাগারে গিয়ে ওই যুবতী নিজের শরীর থেকে একের পর এক পোশাক খুলে ফেলছিলেন।
নারী শরীরকে কামোৎসুক দৃষ্টিতে প্রকাশ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের এই পন্থা অন্য ফরাসি নির্মাতাদেরও পছন্দ হয়েছিল। তাই দ্রুতই পর্দায় সাহসী দৃশ্য ফুটিয়ে তুলতে শুরু করেন তাঁরা।
‘ফতিমাস কুচি কুচি ডান্স’, ‘দ্য বার্থ অফ দ্য পার্ল’-এর মতো ছবিতে এর পর কিছু সাহসী দৃশ্য দেখানো হয়। ১৮৯৬ সালেই ‘দ্য মে ইরউইন কিস’ ছবিতে ৪৭ সেকেন্ডের একটি ক্লিপে দেখানো হয় প্রথম চুম্বনদৃশ্য।