গত কয়েক বছরে অভিনয়ের ব্যস্ততায় বড় পরিসরের কোনো আয়োজন সঞ্চালনা করা হয়নি নুসরাত ফারিয়ার। তবে এবার তাঁকে দেখা যাবে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২১’ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করতে। যা নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত ফারিয়া। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে তার কোনো উপস্থাপনা এটি। তিনি বলেন, উপস্থাপনা তো আমার ভালো লাগার জায়গা। কাজটা আমি খুব উপভোগ করি।
নুসরাত ফারিয়া জানান, আগে থেকেই উপস্থাপনার সঙ্গে জড়িত থাকায় অনুষ্ঠানটি নিয়ে তেমন নার্ভাসনেস নেই। তবে অন্য একটি কারণে উচ্ছ্বাস একটু বেশি। করোনার পর এবার বড় পরিসরে আয়োজন হচ্ছে। অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। এর আগে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে অভিনয়ের সূত্র ধরে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে, কিন্তু এবারই তাঁর সামনে এই প্রথম সঞ্চালনা করব।
এর আগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মঞ্চে তিনবার পারফর্ম করেন ফারিয়া—দুইবার একক, একবার দলীয়। তবে সঞ্চালনা করবেন এই প্রথম।
ফারিয়া জানান, এর আগে তাঁর সবচেয়ে বড় উপস্থাপনার অভিজ্ঞতা ছিল, বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে এ আর রাহমানের কনসার্ট সঞ্চালনা।
তিনি বলেন ‘তখন তো পিচ্চি ছিলাম, এখন আগের চেয়ে পরিণত। আশা করি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ভালোভাবে শেষ করতে পারব। আমার তো বটেই, অনুষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরও এ আত্মবিশ্বাস আছে, “ফারিয়াকে দিলে ঠিক করে ফেলবে”, বলেন তিনি।
গত ২৯ জানুয়ারি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে ২৭ শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২১-এর ব্যক্তিদের নামের তালিকা প্রকাশ করে। এবার যুগ্মভাবে সেরা চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ ও ‘নোনাজলের কাব্য’।
সেরা নির্মাতা হচ্ছেন ‘নোনাজলের কাব্য’-এর নির্মাতা রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত। যুগ্মভাবে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পাচ্ছেন মীর সাব্বির (‘রাতজাগা ফুল’) ও সিয়াম আহমেদ (‘মৃধা বনাম মৃধা’), যুগ্মভাবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পাচ্ছেন আজমেরী হক বাঁধন (‘রেহানা মরিয়ম নূর’) ও তাসনোভা তামান্না (‘নোনাজলের কাব্য’)। আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হবে ডলি জহুর ও ইলিয়াস কাঞ্চনকে।