সৃষ্টির আদিকাল থেকেই নারী-পুরুষের যৌনতার সম্পর্ক। এ সম্পর্কের মাধ্যমেই নতুন যুগল একে অপরকে নতুন রূপে আবিষ্কার করে। চার দেওয়ালের গোপন পরিসরে তারা একে অপরের সঙ্গে মিলিত হন।
তবে প্রতি দিনের শারীরিক মিলনে অনেক সময় একঘেয়েমি লাগতে পারে। আর সেজন্যই অনেকে নতুনত্ব খোঁজেন। নিত্যনতুন ভঙ্গিতে মিলিত হতে ব্যাকুল হয়ে ওঠেন।
পশ্চিমবঙ্গের নাগপুরের এক যুগল তেমনই নতুনত্ব খুঁজতে গিয়ে ডেকে এনেছেন মৃত্যু। হোটেল কক্ষে অভিনব কায়দায় মিলিত হতে গিয়ে মৃত্যু হয় নারীর।
ঘটনাটি ২০২১ সালের। নাগপুরের খাপরখেদা এলাকায় একটি হোটেলের ঘরে সময় কাটাতে গিয়েছিলেন যুগল। তাদের মাঝে পরকীয়া সম্পর্কে ছিল। ৩০ বছরের যুবক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন এক বিবাহিতা নারীর সঙ্গে।
তারা যৌনসুখের মাত্রা বৃদ্ধি করতে যুবকের হাত, পা কষে বেঁধে দিয়েছিলেন মহিলা। সেই বাঁধনেই নেমে আসে মৃত্যু।
পুলিশ জানিয়েছে, যৌনতৃপ্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে যুবককে চেয়ারে বসিয়ে প্রথমে তার হাত এবং পা শক্ত করে বেঁধে দেন প্রেমিকা। তার পর গলাতেও জড়িয়ে দিয়েছিলেন নাইলনের দড়ি।
হাত, পা বাঁধা অবস্থাতেই তারা মিলিত হয়েছিলেন। তার পর শৌচাগারে যান মহিলা। যুবকের বাঁধন না খুলেই তিনি উঠে যান। কিছু ক্ষণ পর ঘরে ফিরে দেখেন, যুবক অচৈতন্য। তার মাথা নুইয়ে পড়েছে।
দ্রুত হোটেল কর্তৃপক্ষকে খবর দিয়ে যুবকের বাঁধন খোলা হয়। তার পর খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পৌঁছলে তাদের কাছে গোটা ঘটনাটি বিশদে জানান মহিলা।
তদন্তে দেখা যায়, হাত, পা বাঁধা অবস্থায় চেয়ারে বসে থাকাকালীন পা পিছলে গিয়েছিল যুবকের। তিনি চেয়ার থেকে পড়ে যান। তখনই তার গলার দড়িতে ফাঁস লেগে যায়। ফলে চিৎকার করে সাহায্য চাওয়ারও কোনও সুযোগ তিনি পাননি।
এই ঘটনায় দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিশ। মহিলার ফোন বাজেয়াপ্ত করে তারা। উদ্ধার করা হয়েছিল মৃত যুবকের ফোনও। ওই হোটেলের মালিক এবং কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেন তদন্তকারীরা।
পুলিশের জেরার মুখে মহিলা স্বীকার করেন যে, তিনি যুবকের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। প্রায়ই তাঁরা হোটেলের ঘরে মিলিত হতেন। এই সম্পর্কের কথা মহিলার পরিবারের কেউ জানতেন না।