পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার সিংহখালী গ্রামে নানাবাড়িতে জন্মেছিলেন পরীমনি। এসএসসি পরীক্ষার পরপরই গ্রাম ছাড়েন। অভিনয়ে আসার পর প্রতিবছর কিছুদিনের জন্য গ্রামে গেছেন। তবে এবারের যাত্রাটা তাঁর জন্য ছিল অন্য রকম। এবার প্রথমবার সঙ্গে ছিল পরীর স্বামী শরীফুল রাজ ও সন্তান রাজ্য। ছবিতে ছবিতে দেখে নেওয়া যাক পরীমনির সফর।
গত চার বছর গ্রামে যেতে পারেননি। হাসতে হাসতে পরীমনি বলেন, আগে দুইবার খবর পাঠিয়েও যেতে পারিনি। তখন কোভিড ছিল। তা ছাড়া নিজের জীবনে কিছু ঝড়ঝাপটা গেছে। বিয়ে, বাচ্চা হওয়ারও একটা বিষয়। এবার তাই না বলেই রওনা হয়েছিলাম।
গ্রামের আকাশে হেলিকপ্টার দেখেই দূরদূরান্ত থেকে পরিচিত, অপরিচিত লোকজন ছুটে আসেন। পরী বললেন, ‘সঙ্গে রাজ ও রাজ্য ছিল, এ কারণে মানুষের একটা বাড়তি আগ্রহ ছিল। যে মাঠে হেলিকপ্টার থেকে নেমেছিলাম, ছোটবেলায় জায়গাটা ছিল জলাশয়। এখন মাটি ভরাট করে মাঠ হয়েছে। নামার পর মানুষের ভিড়ে লেগে যায়। এগোতেই পারছিলাম না। মানুষের এত ভালোবাসা, বাড়ি পৌঁছানোর পর দল বেঁধে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আমাকে ও আমার সন্তানকে দেখতে আসছেন।
পরীমনি জানান, ভগীরথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়েছেন তিনি। গ্রামে গেলে স্কুলজীবনের বন্ধুদের মনে পড়ে। তবে বড় খালার মেয়ে স্বর্ণা ছাড়া ক্লাসের অন্য বন্ধুদের সঙ্গে আর দেখা হয় না। এখন কেউ বিদেশে, কেউ চাকরি নিয়ে ব্যস্ত। কেউ বিয়ে করে গ্রাম ছেড়েছেন।
ঢাকায় আকাশভরা তারা দেখা যায় না। এখানে তারাখচিত রাতের স্নিগ্ধ আকাশ কী যে সুন্দর দেখায়! ওই দিন রাতে চাঁদের আলোয় উঠানে পাটিতে বসা রাজ্যের ছায়া দেখছিলাম, অদ্ভুত সুন্দর লাগছিল, বললেন পরী।
যে স্কুলে পড়েছেন, স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে সেই ভগীরথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন পরীমনি। ঘুরে ঘুরে স্কুলজীবনের গল্প শুনিয়েছেন রাজকে।