কিংবদন্তি পেলের কন্যা দাবি করা সেই নারীর ডিএনএ পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। ফলে তার দাবি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয় তিনবার বিশ্বকাপ জেতা একমাত্র ফুটবলার পেলে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মারা যান। তার মোট সাত সন্তান রয়েছে। পেলের ছেলে এদিনিও জানান, আমরা ওই নারীর দাবির প্রেক্ষিতে তার ডিএনএ পরীক্ষা করিয়েছি। এটা নিশ্চিত হয়েছি, সে আমাদের বোন নয়।
পেলের কন্যা দাবি করা এই নারীর পরিচয় নিয়ে খুব বেশি জানা যায়নি। গত মার্চে তিনি আলোচনায় আসেন। পেলের মৃত্যুর পর ওই নারী তার রেখে যাওয়া সম্পত্তির উত্তরাধিকারী দাবি করেন। তখন পেলের স্ত্রীর আইনজীবী লুইজ কিগনেল এএফপিকে জানিয়েছিলেন, আরেকটি কন্যাসন্তান হয়তো আছে, যিনি সন্তানদের জন্য কিংবদন্তির রেখে যাওয়া ৭০ শতাংশ সম্পত্তির অংশ পাবেন। পেলে বেঁচে থাকতে করোনা মহামারি এবং শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তখন ডিএনএ পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
এদিনিও বলেন, বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তির দেখাশোনা ও বণ্টনে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। ভাইদের মধ্যে মিল আছে। মার্সিয়ার (পেলের তৃতীয় স্ত্রী, যিনি ৩০ শতাংশ সম্পত্তি পাবেন) দিক থেকেও কোনো অসুবিধা নেই। আমার বাবা যেভাবে ইচ্ছা প্রকাশ করে গেছেন, তার প্রতি সম্মান দেখানো হবে।
মৃত্যুর আগে পেলে আনুমানিক ১৭৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকার সম্পত্তি রেখে গেছেন বলে ধারণা করা হয়। তবে পেলের পরিবারের তরফ থেকে এই অঙ্ক নিশ্চিত করা হয়নি, কিংবা এ বিষয়ে কোনো তথ্যও জানানো হয়নি।